উজিরপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি দখলের অভিযোগ
- উজিরপুর (বরিশাল) সংবাদদাতা
- ১০ জুলাই ২০২৪, ০০:০৫
বরিশালের উজিরপুরে হারতা ইউনিয়নে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিগ্রহণ করা সম্পত্তি দখল ও পাকা ভবন ভাঙার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক পল্লী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে গত সোমবার দেখা যায়, হারতা বাজারের উত্তর পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডর নিজস্ব সম্পত্তিতে সুইচগেটের খালাসীর থাকার জন্য একটি পাকা ভবন নির্মাণ করে। কিন্তু ওই সম্পত্তি নিজেদের দাবি করে ভবনটি ভাঙছেন পল্লী চিকিৎসক নগেন হালদার।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৬ সালে এরশাদ সরকারের শাসন আমলে দেশের বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্প বাস্তবায়নে হারতা মৌজার প্রায় ৪০ একর সম্পত্তি অধিগ্রহণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। দুই বছর পর ১৯৮৮ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড ওই জায়গায় মাটি ভরাট করে বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও একটি স্লুইচগেট নির্মাণ করে। পানি নামানোর জন্য স্লুগেটের খালাসির জন্য একটি পাকা ভবন নির্মাণ করে। সেখানে কাজের লোক রাখা হয়। এরপর থেকে এই অঞ্চলের মানুষ এর সুফল ভোগ করে আসছে। সেই সম্পত্তির ৪ শতাংশের ওপর নির্মাণ করা হয় খালাসির ভবন। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, পল্লী চিকিৎসক নগেন হালদার প্রভাব খাটিয়ে ভবন ভাঙার জন্য ১০ হাজার টাকায় চুক্তি করে।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে স্থানীয়রা একাধিকবার জানালেও তাঁরা ঘটনাস্থলে আসেননি। এ ব্যাপারে পল্লী চিকিৎসক নগেন হালদার বলেন, দুই শতাংশ জমি আমার। পার্শ্ববর্তী দুই শতাংশ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হলেন রায়ের। ভবন ভাঙার কথা বললে তিনি বলেন, পরে আপনার সাথে দেখা করব। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হরেন রায় কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অসুস্থ এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
হারতা ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান অমল মল্লিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সুইচগেট খালাসীর একটি পাকা ভবন আছে কিন্তু এটি ভেঙেছে আমার জানা নেই।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খালেদ বিন অলীদ বলেন, যত বড় ক্ষমতাশীল হোক কারোর এখতিয়ার নেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি ও ভবন দখল করার। কেউ যদি প্রভাব খাটিয়ে জমি ও ভবন দখল করার চেষ্টা করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। দুই-একদিনের ভেতর ঘটনাস্থলে আমাদের অফিস থেকে রেভিনিউ কর্মকর্তাসহ যারা দায়িত্বে রয়েছেন তারা যাবেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা