কুবির ছাত্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে গবেষণার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
অভিযোগের বিষয়টি জানেন না বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রো-ভিসি- কুবি সংবাদদাতা
- ১০ জুলাই ২০২৪, ০০:০৫
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যেকোনো সমস্যা সমাধান কিংবা দাবি দাওয়া পূরণের মাধ্যম ছাত্রপরামর্শক ও নির্দেশনা কার্যালয়। কিন্তু কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ কার্যালয়ের প্রধান অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধেই উঠেছে শিক্ষার্থীদের অর্থ নিয়ে ‘গড়িমসি’র অভিযোগ। যাকে ‘অর্থ আত্মসাৎ’এর শামিল বলছেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, জব ফেয়ার অথবা নবীন বরণ আয়োজন স্পন্সরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে প্রীতি রিসার্চ অ্যান্ড কনসালটেন্সি লিমিটেডের মৌখিকভাবে একটি চুক্তি হয়। ছাত্রপরামর্শক ও নির্দেশনা কার্যালয়ের প্রধান ভিসি কর্তৃক চুক্তি অনুযায়ী ফার্মের একটি প্রজেক্টের জন্য ৫০০ স্যাম্পল সংগ্রহ করে দেয়ার বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের পারিশ্রমিকসহ ‘একলাখ’ টাকা দেয়ার কথা বলেন ফার্মের এমডি। এরপর ২০২৩ সালের ৭ জুন প্রজেক্টের কাজ শুরু হয়ে ১৯ জুন শেষ হয়। এতে চারজন তথ্যদাতা সংগ্রাহকের পাশাপাশি তথ্য সংগ্রহকারী হিসেবে আটজন শিক্ষার্থী কাজ করেন।
কনসালটেন্সি ফার্ম ও শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৩ নভেম্বর ছাত্রপরামর্শক ও নির্দেশনা কার্যালয়ের অ্যাকাউন্টে ৭০ হাজার টাকা পাঠানোর এক বছর পার হলেও ছাত্র উপদেষ্টা ড. হাবিবুর শিক্ষার্থীদের অর্থ পরিশোধ করেননি।
এ বিষয়ে কো-অর্ডিনেটর আহনাফ শাহরিয়ার রিকি বলেন, কোম্পানি আমাদের প্রাপ্য দিলেও স্যার তা গোপন করেন। আমাদের প্রাপ্য দ্রুত না পেলে আইনি পদক্ষেপ নেব।
এ দিকে ফার্মের এমডি বলেন, প্রথমে ওই শিক্ষক হ্যান্ডক্যাশ নিতে চাইলে আমরা ডকুমেন্ট ছাড়া দিব না বলে জানাই। পরবর্তীতে ওনার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে দিতে বলায় আপত্তি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট দেয়ার কথা বলি। তার পর উনি ছাত্রপরিচালনা দফতরের নামে জনতা ব্যাংকের একটি নম্বর দিলে আমরা ৭০ হাজার টাকা পাঠাই।
অর্থ প্রাপ্তির বিষয়টি ছাত্র উপদেষ্টা ড. হাবিবুর নিশ্চিত করলেও ওই অর্থ শিক্ষার্থীদের নয় বলে জানান। তবে ফার্মের এমডি বিষয়টিকে অস্বীকার করে বলেন, যেহেতু ছাত্রপরামর্শকের সাথে যুক্ত তাই ওনাকেই পুরো টাকাটা দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, যদি এ ধরনের কিছু হয়ে থাকে তাহলে শিক্ষককে বিচারের আওতায় আনা উচিত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, বিষয়টি মাত্রই শুনলাম। ওই শিক্ষকের সাথে কথা বলে দ্রুত বিষয়টির সমাধান করে নিতে বলবো।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা