১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
চকরিয়ার একমাত্র সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়

ছাদ থেকে খসে পড়ছে প্লাস্টার ঝুঁঁকিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

-

চকরিয়া উপজেলার একমাত্র সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের বেহাল অবস্থা। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষার শুরুতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ভবনের বিভিন্ন কক্ষের প্লাস্টার খসে পড়ছে। ফলে ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে ক্লাস করতে হচ্ছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, প্রতিষ্ঠানটির আশপাশের জায়গা ভরাট করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের ফলে বিদ্যালয়টি এখন নিচু অবস্থানের মধ্যে পড়ে গেছে। ফলে চতুর্দিকের বৃষ্টির পানি এসে জমাট হয়ে ঢুকে পড়ছে বিদ্যালের শ্রেণিকক্ষে। পাম্প বসিয়ে পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা করা হলেও বর্ষণ অব্যাহত থাকায় হাঁটু পরিমাণ পানি মাড়িয়ে পাঠ নিচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয়টি প্রধান শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন জানান, ১৯৬৮ সালে চকরিয়া পৌর সদরে প্রতিষ্ঠা করা হয় এ বালিকা বিদ্যালয়টি। ১৯৮৫ সালে জাতীয়করণ করা হয়। তখন নির্মাণ করা হয় দ্বিতল একটি প্রশাসনিক ভবন। বর্তমানে বিদ্যালয়টির ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯২৭ জন। শিক্ষক স্বল্পতা না থাকলেও বিদ্যালয়ের এমন বেহাল অবস্থায় শ্রেণি কার্যক্রম চালিয়ে যেতে বেশ কষ্ট হচ্ছে।
প্রধান শিক্ষক আরো জানান, চকরিয়া সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের এ করুণ অবস্থা ও আশঙ্কার কথা লিখিতভাবে ঊর্ধŸতন মহলকে জানানোর পর দ্বিতল প্রশাসনিক ভবনটি ভেঙে সেখানে ছয় তলাবিশিষ্ট আরেকটি ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নতুন ভবন নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত নিয়মিত পাঠদানের সমস্যা নিয়েই চলতে হবে।
নতুন ভবন নির্মাণ প্রসঙ্গে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর জানায়, ছয় তলা ভবন নির্মাণের সবকিছু ঠিকঠাক রয়েছে। কিন্তু পুরোনো ভবন ভেঙে ফেলতে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় নতুন ভবনটি নির্মাণ কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফখরুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়টির সার্বিক পরিস্থিতি ইতোমধ্যে জেনেছি। নতুন ছয় তলা ভবন নির্মাণ অনুমোদন হলেও কিছু জটিলতা থাকায় এখনো কাজ শুরু করা যায়নি।


আরো সংবাদ



premium cement