১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়ার হাটবাজার ভারতীয় অবৈধ চিনিতে সয়লাব

বিষাক্ত চিনিতে মাছি ও মৌমাছি বসলেই মরে যায়
-

কুমিল্লার বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়ার হাটবাজারগুলোর মুদি দোকানগুলোতে ভারতীয় অবৈধ ও বিষাক্ত চিনিতে সয়লাব হয়ে গেছে। এসব চিনি এতোটাই বিষাক্ত যে, চিনির ওপর মাছি কিংবা মৌমাছি বসলেই মরে যায়। প্রতিদিন মানুষের চা দিয়েই শুরু হয় দিনের কার্যক্রম। আর এ চায়ের প্রধানতম উপকরণ চিনি। এ অঞ্চলের মানুষের দিনের শুরুটাই হয় চায়ের সাথে ভারতীয় এ বিষাক্ত চিনি খেয়ে।
ভারতের গুণমানহীন এ চিনি সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো দিয়ে অবৈধ পথে বাংলাদেশে আসছে। বাংলাদেশের চিনির চেয়ে ভারতীয় চিনির দাম বস্তা প্রতি ২০০-৩০০ টাকা কম হওয়ায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী গুণগতমান বিচার না করেই বাজারজাত করছে এ বিষাক্ত চিনি। আর সচেতনতার অভাবে ক্রেতারা শুধু দামে কম হওয়ার কারণে এ বিষাক্ত চিনিই কিনে খাচ্ছেন।

বুড়িচং বাজারের চা দোকানি সুমন বলেন, ইন্ডিয়া বাংলাদেশ বুঝি না ভাই। দামে যেইটা কম পাই হেইটাই কিন্না আনি। আমরা ১-২ কেজি করে কিনি। এতো যাচাই বাছাই করার দরকার মনে করি না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মুদি দোকানদার বলেন, বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার প্রত্যেকটি বাজারেই রয়েছে ভারতীয় চিনির দাপট। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের চিনি সহজে পাওয়া যায় না। আবার পাওয়া গেলেও দাম বেশি হওয়ায় পোশায় না আমাদের।
বুড়িচং উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের আবদুল খালেক বলেন, ইন্ডিয়ার চিনিতো স্বাধীনতার পর থেকেই বিভিন্ন পথে বাংলাদেশে আসছে। ভারতীয় চিনিতে কী যে মিশানো থাকে, এ চিনিতে মশা-মাছি বসলেই মরে যায়। আমরা হুশজ্ঞান নিয়ে চলতে পারি না। তাই এতো রোগ বালাই আমাদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ভারতীয় চিনি হলো বিষের ফ্যাক্টরি। এগুলোতে মাছি বসলেও মারা যায়। মাঝেমধ্যে আমরা ভারতীয় চিনির বস্তা আটক করে থানায় নিয়ে রেখে দিই। ওসব বস্তার পাশে মাছি মরে পড়ে থাকে।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স ম আজহারুল ইসলাম বলেন, আমরা বাজারগুলো থেকে চিনি ও লবণসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের কিছু নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠাব। এতে কোনো বিষাক্ত জিনিস আছে কি না সেটা দেখার জন্য। যদি থাকে তাহলে সংশ্লিষ্ট দোকানগুলোকে সিলগালা করে দেয়া হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement