০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ২ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

চুয়াডাঙ্গায় ১ সপ্তাহে কুকুরের কামড়ে আহত ৫৬

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই ভ্যাকসিন
-

চুয়াডাঙ্গায় গত এক সপ্তাহে কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছে প্রায় ৫৬ জন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন না থাকায় বিপাকে পড়েছেন ভুক্তভোগীরা।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলাজুড়ে বেড়েছে বেওয়ারিশ কুকুর। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, শিশু ও পথচারীসহ সাধারণ মানুষকে পড়তে হচ্ছে চরম বিড়ম্বনায়। রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে কুকুরের ভয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে পথচারীসহ স্থানীয়দের। প্রায় প্রতিদিনই কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে মানুষ।
এসব কুকুর নিধনে পৌরসভা ও প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ না থাকায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকার মানুষ। স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেগুলোতে ভ্যাকসিন-সুবিধা না থাকায় আক্রান্ত ব্যক্তিরাও চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে দিনে অর্থাৎ ১ জুন থেকে ৭ জুন কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে শিশুসহ মোট চিকিৎসা নিয়েছেন ৫৬ জন।
এ দিকে, জেলার দামুড়হুদা, আলমডাঙ্গা ও জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নেই অ্যান্টি-র‌্যাবিস ভ্যাকসিন। ফলে কুকুর-বিড়ালে আঁচড় দিলে কিংবা কামড়ালে ভ্যাকসিন দিতে হবে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে গিয়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগীরা।
ভুক্তভোগী এক নারী বলেন, আমার বাড়ি আলম ডাঙ্গাতে। গতকাল একটি কুকুর কামড়িয়ে দিয়েছে। আলমডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে তারা জানান এখানে ভ্যাকসিন নেই। কিনে দিতে হবে, অথবা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে গিয়ে দিতে হবে। পরে বাধ্য হয়ে সদর হাসপাতালে এসেছি।
চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক বলেন, আইন অনুযায়ী কুকুর নিধনের অনুমতি নেই। তাই সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা: সাজ্জাদ হাসান বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে অ্যান্টি-র‌্যাবিস ভ্যাকসিন নিয়ে রাখতে হবে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, যদি জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ে সে ক্ষেত্রে বেওয়ারিশ কুকুরের বিষয়ে কিছু কার্যক্রম আছে। সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা ব্যবস্থা নিতে পারে। আমি হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে পরিসংখ্যান নেবো। প্রয়োজনে পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে নির্দেশনা দেবো।


আরো সংবাদ



premium cement