১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ভালো নেই গলাচিপার নিম্ন আয়ের মানুষ

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি
-

মুরাদনগর গ্রামের কালাম মোল্লা। পেশায় ভাড়ায় চালিত রিকশার চালক। গলাচিপা উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে রিকশা চালিয়ে চলে তার ছয় সদস্যের সংসার। রিকশা ভাড়া মেটানোর পর দিন শেষে পকেটে পড়ে থাকে ৪০০-৪৫০ টাকা। নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দামে খাবার কিনে পরিবারের সদস্যের মুখে দুই বেলা দু’মুঠো খাবার তুলে দেয়াই এখন দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে তার পক্ষে।
কালামের মতো আব্দুল ওহাবের অবস্থাও তথৈবচ। বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন তিনি। মাস শেষে বেতন পান মাত্র ১২ হাজার টাকা। সেই টাকায় বাসা ভাড়া মিটিয়ে শহরে বাস করা রীতি মতো যুদ্ধক্ষেত্র মনে হচ্ছে তার কাছে। কারো কাছে সাহায্য চাইতেও পারেন না। নিত্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় এসব নিম্ন আয়ের মানুষের অবস্থা এখন নাজেহাল। দু’বেলা খেয়ে বেঁচে থাকার সংগ্রামে টিকে থাকাটাই যেন তাদের কাছে বড় সাফল্য। পেটের ভাত কোনো রকমে জোগানো গেলেও চিকিৎসা ও বিনোদন খরচ জোগার করা তাদের পক্ষে আর সম্ভব হয়ে ওঠে না। দ্রব্যমূল্যের বাড়তি দামের সাথে বাড়েনি তাদের আয় রোজগার। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নাভিশ্বাস উঠছে নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটির।
গলাচিপার চৌরাস্তার দোকানদার রহিম গাজী বলেন, গ্রামের মানুষের কাছে নগদ টাকার সঙ্কট দেখা দিয়েছে, তাই ব্যবসা ভালো যাচ্ছে না। প্রতিদিন ৬০০-৭০০ টাকা আয় হচ্ছে। দোকান ভাড়া ও অন্যান্য বিল মিটিয়ে সংসার চালানো কষ্টসাধ্য। আবার কোনো কোনো দিন বেচাকেনা হয় না।
চা দোকানি শাহ আলম বলেন, চায়ের দোকান চালিয়ে চারজনের সংসার এখন আর চালাতে পারছি না। প্রতিনিয়ত ঋণগ্রস্ত হচ্ছি। দোকানে আগের মতো বেচাকেনা নেই।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের কোরবানি প্রোগ্রামের গরুর গোশত নিতে আসা এক সুবিধাভোগী ১৪ বছর বয়সী এতিম জীবনের দাদী হালিমা জানান, ‘যেডু গোশত পাইছি, অপ্প অপ্প করে ম্যালা দিন খামু। নাতিডার লইগ্গা গোশত পাইছি। নাতিডারে নিয়ে মোরা গোশত কবে খাইছি মনে নাই। আবার কবে গোশত পামু আর আল্লাহ কবে খাওয়াইবে জানি না।’


আরো সংবাদ



premium cement
ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আরো ৫০ কোটি মার্কিন ডলারের সহায়তা ঘোষণা র‌্যাংকিংয়ে উন্নতি সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের পাকিস্তান টেস্ট দলের কোচের দায়িত্ব ছাড়লেন গিলেস্পি চৌগাছায় গৃহবধূ রাবেয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার সিরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার ৯০ শতাংশ ধ্বংস করার দাবি ইসরাইলের ইজতেমা ময়দানে সা’দপন্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে স্মারকলিপি প্রদান ‘শহীদ জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন ক্যারিশম্যাটিক লিডার’ ডেঙ্গুতে আরো ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ২৪১ গৌরনদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় পথচারী নিহত শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শের দেশ গড়তে পারলেই তাদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে : রাষ্ট্রপতি বানিয়াচংয়ে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলআরোহী নারী নিহত

সকল