আট বছরে দৃশ্যমান কেবল পিলার
- এম আইউব যশোর অফিস
- ০৬ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
যশোরের উপশহরে ৮৬ কোটি টাকা প্রকল্পের ১০ তলা বিশিষ্ট মার্কেট নির্মাণ আট বছরেও শেষ করতে পারছে না জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ। কমপক্ষে ৫০০ ঘরের টার্গেট করে সরকারি উদ্যোগে দেশের মধ্যে অন্যতম একটি বড় মার্কেট হিসেবে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই চালু করার সময়সীমা থাকলেও তা ঠিক থাকছে না। এতদিনে কেবলমাত্র পিলার ও রড দৃশ্যমান হয়েছে
প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর কথা উল্লেখ করে হাউজিং এস্টেট যশোরের কর্মকর্তারা আগামী ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার আশাবাদ ব্যক্ত করলেও রয়েছে নানা শঙ্কা। যে কারণে নির্মাণাধীন ওই মার্কেটে ঘর পেতে ইতোমধ্যে আবেদন করা ৫০০ ব্যবসায়ী রয়েছেন উৎকণ্ঠায়। তাদের দাবি, আট বছর আগে ভাঙা হয়েছে গোলমার্কেট। সেই থেকে বাস্তুহারার মতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারা। আর তাই দ্রুত নির্মাণকাজ শেষ করে ঘর বরাদ্দ দেয়ার দাবি তাদের।
উপশহর হাউজিং এস্টেটের মালিকানাধীন গোলমার্কেটে এক সময় ঘরপ্রতি মাত্র ৭০ টাকা মাসিক ভাড়া ও কিছু অগ্রীম দিয়ে এবং সর্বশেষ ৭০০ টাকা ভাড়া দিয়ে আসছিলেন ব্যবসায়ীরা। এর এক পর্যায়ে ২০১৬ সালে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা করে উপশহরের গোল মার্কেটটি ভেঙে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় নির্মাণকাজ। টানা দু’বছর কাজ চলার পর করোনার সময় কাজে স্থবিরতা আসে। মাঝপথে কিছু আয়তন বাড়ায় বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য ২০২২, ২০০৩ কাজ বন্ধ ছিল। চলতি মাসে আবার কাজ শুরু হয়েছে।
জাতীয় গৃহায়ণ সূত্র জানিয়েছে, দশতলা বিশিষ্ট ভবনে ৫০০টি ঘর হবে। নির্মাণ সামগ্রীর উচ্চমূল্যের কারণে ব্যয় বরাদ্দ শত কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
গোলমার্কেটের এক সময়ের ব্যবসায়ী সেলিম হোসেন, কামরুল ইসলামসহ অনেকে জানান, তাদের সহজ শর্তে ঘর দেয়া হবে বলে জানানো হয়। তারা দ্রুত নির্মাণকাজ শেষ করে বণ্টন করার জোর দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের উপবিভাগীয় প্রকোশলী রিদুয়ার হোসেন জানিয়েছেন, দেশের মধ্যে রাজধানীর বাইরে এ ধরনের উদ্যোগ এই প্রথম। বসুন্ধরা সিটির আদলে মার্কেটটি নির্মাণ চলছে। অত্যাধুনিক সরকারি মার্কেটটি যাতে সত্যিকার অর্থে যশোরের সুবিধা বঞ্চিত ব্যবসায়ীদের কাজে আসে সেই চেষ্টা চালাচ্ছে হাউজিং এস্টেট যশোর। তবে টার্গেট অনুযায়ী এ বছরের ডিসম্বরে কাজ শেষ হচ্ছে না। ১০ তলা ভবনের সিদ্ধান্ত হলেও প্রকল্পের প্রথম বরাদ্দে পাঁচতলা পর্যন্ত শেষ হবে। গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ ও মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলোচনা পর প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে আরো এক বছর। এই বাড়তি সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা