সম্ভাবনাময় বসন্তপুর নৌ-বন্দর
- মুহা: জিল্লুর রহমান সাতক্ষীরা
- ০৬ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় পর ফের চালু হতে যাচ্ছে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বসন্তপুর নৌ-বন্দর। বাণিজ্যিক গুরুত্ব বিবেচনায় এ বন্দর চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে গেজেট। নতুন অর্থনৈতিক কেন্দ্র গড়ে ওঠার পাশাপাশি প্রসার ঘটবে নৌ-পথে আমদানি রফতানি বাণিজ্যের। সেই সাথে অল্প সময়ে ভারতে যেতে পারবে দেশের দক্ষিণ পশ্চিাঞ্চলের মানুষ। ফলে বসন্তপুর নৌ-বন্দর খুলে দিতে পারে সাতক্ষীরার অর্থনৈতিক সম্ভাবনার এক নতুন দুয়ার।
রাজা প্রতাপাদিত্যের ইতিহাস সমৃদ্ধ বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তবর্তী জেলা সাতক্ষীরা। জেলার কাকশিয়ালি-ইছামতি ও সীমান্তের কালিন্দী নদীর মোহনা ঘিরে জেলার কালিগঞ্জের বসন্তপুরে গড়ে উঠেছে নৌ-বন্দর। ব্রিটিশ শাসনামলে এখানে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নৌবহরও নোঙর করতো। দেশ ভাগের পর এখানে আর্ন্তজাতিক নৌ-বন্দর চালু করা হয়। সেময় এখানে নিয়মিত চলতো আমদানি রফতানি বাণিজ্য। ছিল ইমিগ্রেশন কার্যক্রমও। প্রাচীনকালে এটিই ছিল দেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক নৌ-বন্দর। কলকাতা ও হলদিয়া বন্দরের খুব নিকটে অবস্থিত সাতক্ষীরার বসন্তপুরের নৌ-বন্দরটি। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের পর নৌ-বন্দরটি বন্ধ হয়ে যায়। তবে এখানে স্মৃতি চিহৃ হিসাবে এখনো রয়েছে বন্দরের কাস্টমস অফিস, জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে আছে তৎকালিন ইমিগ্রেশন অফিস, স্টাফ কোয়ার্টারসহ আরো কয়েকটি ভবন।
সম্প্রতি ভারত ও বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্যিক গুরুত্ব বিবেচনায় নৌবন্দরটি আবারো চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বিআইডব্লিউটি ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। বন্দরের জমি উদ্ধার করে দেয়া হয়েছে কাটাতারের বেড়া। শিগগিরই অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু হবে।
নৌবন্দরটি চালু হলে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি রফতানি কার্যক্রম বাড়বে। এতে পরিবহন ব্যয়ও কমবে। কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে এই এলাকার মানুষের। এছাড়া, ভারত থেকে আসা পণ্যবাহী জাহাজকে আর সুন্দরবনের নদীগুলো ব্যবহার করতে হবে না।
বসন্তপুর নদীবন্দর চালুর প্রত্যাশায় একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ২০২৩ সালের ১৩ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি বসন্তপুর নদীবন্দরের কার্যক্রমর উদ্বোধন করেন। এই নৌ-বন্দর চালুর ব্যাপারে কালিগঞ্জের মথুরেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম জানান, বঙ্গবন্ধুর পরিবারের স্মৃতি বিজড়িত এ স্থানে আবারও নৌবন্দর চালু হতে যাচ্ছে। এতে মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ অর্থনৈতিক উন্নয়নে নানাবিধ সুবিধার সৃষ্টি হবে।
জেলা প্রশাসাক মোহম্মাদ হুমায়ুন কবির বলেন, এখনো সরকারিভাবে অবকাঠামোগত কিছু সংস্কারের কাজ চলছে। আমরা প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছি। আশা করছি শিগগিরই বন্দরটি চালু করা যাবে।
সাতক্ষীরা জেলার সাথে ভারতের স্থল ও নৌপথে ২৭১ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্যে ভোমরা বন্দর দিয়ে ভারতের সাথে আমদারি রফতানি কার্যক্রম চালু আছে। একই সাথে বসন্তপুর নৌ-বন্দর সংযুক্ত হলে দেশের দক্ষিণ পশ্চিাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা