হোসেনপুরে চালতা ফুলের সৌন্দর্য ও সৌরভে বিমোহিত পথিক
- জাহাঙ্গীর আলম হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ)
- ০৩ জুলাই ২০২৪, ০০:০৫
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে চলতি বর্ষায় কেয়া ও কদমফুলের সাথে পাল্লা দিয়ে ফুটেছে চালতা ফুলও। সাদা রঙের ১৫-১৮ সেন্টিমিটার ব্যাসের সুরভিত এই ফুল পথের ধারে কিংবা পুকুর পাড়ে বিমোহিত করে অনেককেই। তাই রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতায় এই চালতা ফুল স্থান পেয়েছে। ‘আমি চলে যাব বলে, চালতা ফুল কি আর ভিজিবে না শিশিরের জলে-নরম গন্ধের ঢেউয়ে?’ মূলত গ্রাম-গঞ্জে বর্ষাকালে দেখা মেলে চালতা ফুল ও ফলের। দৃষ্টিনন্দন এই ফুলটি বর্ষা মৌসুমে আবহমান প্রকৃতির শুদ্ধতারই জানান দেয়।
ঔষধিগুণসম্পন্ন ও টক জাতীয় চালতা ফলের কদর রয়েছে দেশের সর্বত্রই। এ গাছটি উচ্চতায় প্রায় ১৮ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। গাছটির শাখা-প্রশাখা অবিন্যস্ত ও প্রসারিত। সবুজ পাতাগুলো খাঁজকাটা ধরনের। বর্ষায় এই সবুজের মাঝে শুভ্র চালতা ফুল দেখতে বেশ আকর্ষণীয় লাগে। দীর্ঘাকার ঘন পাতার আচ্ছাদন থেকে মাঝে মাঝে উঁকি দেয় এই ফুল।
স্থানীয় বৃক্ষ গবেষক অধ্যাপক ইয়াসিন আলী জানান, চালতা ফল বহুবিধ ঔষধিগুণসম্পন্ন হলেও এর আচার সবার কাছেই লোভনীয় ও মুখরোচক হিসাবে সমাদৃত। অতীতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে চালতা গাছ দেখা গেলেও বর্তমানে এটি খুব একটা দেখা যায় না।
হোসেনপুর আদর্শ মহিলা ডিগ্রি (অনার্স) কলেজের সহকারী অধ্যাপক নাজমুন নাহার জানান, বহুবিধ ভেষজ গুণসম্পন্ন এ ফল পাকে বর্ষার পর। পাওয়া যায় শীতকাল পর্যন্ত। আষাঢ়-শ্রাবণে ফোটে চালতা ফুল। সুগন্ধি এ ফুলে পাঁচটি পাপড়ি থাকে। পাপড়িগুলো আঁকড়ে থেকে ফলে রূপান্তরিত হয়। প্রতিটি চালতা ফল স্বাভাবিকভাবে ২০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজন হয়ে থাকে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহজাহান কবীর জানান, একটি চালতা গাছে বছরে একবারই ফল ধরে। চালতার ফুল সাধারণত রাতে ফোটে এবং ফুল ফোটার এক দিনের মধ্যেই ফুলের পাপড়ি নিস্তেজ হয়ে পড়ে। তাই পরিপূর্ণ একটি ফুল ফুটেই ঝড়ে যায়। ঔষধি গুণাগুণসম্পন্ন এই গাছ প্রকৃতিতে টিকিয়ে রাখা আমাদের সবার দায়িত্ব।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা