১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

তাড়াশে কৃষি জমিতে রাতের আঁধারে পুকুর খনন

দিনে বন্ধ থাকলেও রাতভর চলে তাড়াশে কৃষি জমিতে পুকুর খনন। ছবিটি উপজেলার নওগাঁ মাঠ থেকে তোলা : নয়া দিগন্ত -

দিনে বন্ধ থাকলেও রাতে চলছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে তিন ফসলি জমিতে অবাধে পুকুর খনন। এতে এ উপজেলায় গত দেড় দশকে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার পুকুর খনন করা হয়েছে।
আর যততত্র পুকুর খননের ফলে বিভিন্ন গ্রামের ফসলি মাঠে জলাবদ্ধতা, পাশাপাশি খাদ্যশস্য ভাণ্ডারখ্যাত এ উপজেলায় আশঙ্কাজনক হারে খাদ্যশস্য ধান, গম, ভুট্টা, তেল জাতীয় শস্য সরিষা উৎপাদনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি ভূমি উন্নয়ন কর থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সরকার।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নব্বই দশকে উপজেলায় বোরো আবাদ হতো প্রায় ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে। চলতি বছর হয়েছে ২১ হাজার হেক্টরে। অথচ চলনবিল অধ্যুষিত এ উপজেলায় প্রধান আবাদি ফসল বোরো ধান। মৌসুমে কোনো জমিই পতিত থাকে না। কিন্তু যত্রতত্র পুকুর খননের কারণে আবাদি জমি কমায় বোরোর আবাদও কমছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের খালকুলায় ইট ভাটাসংলগ্নে শামীম হোসেন ৫৬ বিঘা, হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহসড়কের উত্তর পাশে মহিষলুটি বড়বিল এলাকায় মামুন বাহারী ১৮ বিঘা, মহিষলুটি বিদ্যাধর খালের পাশে সাবেক সেনাসদস্য ওসমান গণি ৪৪ বিঘা, হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহসড়কের ৬ নম্বর ব্রিজে দক্ষিণ পাশে বিদ্যাধর খালের উপর বাঁধ নির্মাণ করে মো: শহিদুল ইসলাম গং ৪০ বিঘা ফসলি মাঠে রাতের এস্কেভেটর মেশিনে (ভেকু) মাধ্যমে পুকুর খনন করে চলছে।
উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের দীঘি গ্রামের পুকুর খননকারী মো: আকবর আলী বলেন, যে ধান উৎপাদন হয় তার চেয়ে পুকুর খনন করে মাছ চাষ করলেই বেশি লাভবান হওয়া যায়। এ কারণেই অনেকেই পুকুর খনন করছে।
একই এলাকার ব্যবসায়ী আবদুস সালাম বলেন, পুকুর খননের ফলে এক দিকে যেমন কমছে কৃষি জমি, তেমনি কমবে কৃষি উৎপাদন। এ ছাড়া অনেকেই সাময়িক লাভের আশায় পুকুর খনন করছে। প্রশাসনের অভিযান থাকলেও পুরোপুরিভাবে বন্ধ হচ্ছে না পুকুর খনন। মূলত প্রশাসনের অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে পুকুর খননকারীরা পুলিশ এবং প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে দিনের পরিবর্তে রাতে পুকুর খনন করছেন। এভাবে থাকলে আগামী দিনে কৃষক পরিবারগুলোর ভাত জুটবে না।
তাড়াশ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: খালিদ হাসান বলেন, গত কয়েক মাসে তাড়াশ উপজেলা প্রশাসন, ভূমি প্রশাসন এবং থানা প্রশাসন পুকুর খনন বন্ধে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছেন। পুকুর খননে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, কৃষক, সচেতন নাগরিকদের জনসচেতনার বেশি গুরুত্ব।
অবৈধভাবে পুকুর খননের বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুইচিং মং মারমা বলেন, পুকুর খনন বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। গত ছয় মাসে খননকারীদের বিরুদ্ধে ২৭টি মামলা করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা: মো: আকদুল আজিজ বলেন, এ উপজেলায় আর একটিও পুকুর খনন যেন না হয়। সে কারণে পুকুর খননে ব্যবহৃত এস্কেভেটর মেশিন (ভেকু) জব্দ করে আদালতে পাঠানো নির্দেশনা দেয়া হয়েছে মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায়।


আরো সংবাদ



premium cement
টানা জয়ে শীর্ষে রংপুর, প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে শান্তর ৮০ ইনসাফভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চায় জামায়াত : রেজাউল করিম টি-টোয়েন্টি সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাতে চান সৌম্য ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংকটে দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানে সমর্থন ইতালির আবাহনীকে হারিয়ে শীর্ষে মোহামেডান ভারতকে ‘অসহযোগী’ দেশ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন : ডিএমপিতে ২ দিনে ১৭৯৯ মামলা কোরআনের সমাজ প্রতিষ্ঠায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি : নূরুল ইসলাম বুলবুল বিআরটি করিডোরে বিআরটিসির এসি বাস সার্ভিস চালু হচ্ছে রোববার বাংলাদেশে বিজেপির হিন্দুত্ববাদের বিকাশ ঘটছে! আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরে আমির

সকল