১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

শাহজাদপুরে যমুনার ভাঙনে দেড় শতাধিক বাড়িঘর বিলীন

ভাঙনকবলিত যমুনার তীরবর্তী জালালপুর গ্রামের বসতভিটা : নয়া দিগন্ত -

যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে শাহজাদপুরে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত দু’সপ্তাহে জালালপুর, খুকনী ও কৈজুরী ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী এলাকার দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি নদীতে চলে গেছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, প্রতি বছরই যমুনার পানি বৃদ্ধি ও কমার সময় ভাঙনের কবলে পড়ে নদী তীরবর্তী অঞ্চল। এ বছর জুনের প্রথম থেকে যমুনার পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। ফলে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার যমুনা নদী তীরবর্তী জালালপুর, গালা, খুকনী ও কৈজুরী ইউনিয়নে যমুনা তীরবর্তী অঞ্চলে নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে জালালপুর, মনোকষা, হাটপাঁচিল, ভেকা, ব্রাহ্মণ গ্রামসহ এই এলাকার প্রায় ২০টি গ্রামের দেড় শতাধিক বাড়িঘর ও প্রায় ৩৫০ একর ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষ।
কৈজুরি গ্রামের আবদুল খালেক জানান, বছরের পর বছর যমুনার ভাঙনে বসতভিটা ও ফসলি জমি হারিয়ে এই এলাকার অনেক মানুষ এখন ভূমিহীন। বাস্তচ্যুত এসব মানুষ স্থানান্তরিত হয়ে পেশা বদলিয়ে প্রান্তিক দিনমজুর হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করছেন। জালালপুর গ্রামের ভাঙনের শিকার আবদুস সালাম বলেন, জরুরি ভিত্তিতে ভাঙনরোধ করা না হলে আরো শত শত বাড়িঘর ও স্থাপনা নদীতে চলে যাবে। এতে শত শত পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়বে ।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, শাহজাদপুর উপজেলায় যমুনার ডানতীর সংরক্ষণের জন্য সাড়ে ছয় কিলোমিটার এলাকায় ৬৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁধ নির্মাণকাজ চলছে। বাঁধ নির্মাণ শেষ হলে ভাঙন রোধ হবে।
এ দিকে গত চার দিন যমুনার পানি কমতে থাকার পর গতকাল থেকে আবারো যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বাড়তে শুরু করেছে। গতকাল রোববার সকালে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষাবাঁধ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬১ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ১ দশমিক ২৯ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপদসীমা ১২ দশমিক ৯০ মিটার)। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।


আরো সংবাদ



premium cement