কয়রায় রেমালে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বরাদ্দ ত্রাণ দোকানে বিক্রির অভিযোগ
- খুলনা ব্যুরো ও কয়রা সংবাদদাতা
- ৩০ জুন ২০২৪, ০০:০৫
খুলনার কয়রা উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বরাদ্দকৃত ত্রাণ বাইরের কয়েকটি দোকানে বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ১৯০ মেট্রিক টন চাল ও ১৬ লাখ নগদ টাকা। কিন্তু সেসব যথাযথভাবে বিতরণ হয়নি বলে জানা গেছে।
কয়রা উপথজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দফতর সূথত্রে জানা যায়, খুলনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখা থেথকে রেমালে ক্ষথতিগ্রস্তদের সহায়তার জনথ্য ঝড়ের পূথর্ব মুহূর্তে ও পথরে কথয়েক দফায় ১৯০ মেথট্রিক টন জিআর চাল এবং নগদ ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এ ছাড়া শিশু খাথদ্যের জনথ্য তিন লাখ টাকা ও গো-খাথদ্যের জনথ্য তিন লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। তন্মথধ্যে গত মে মাথসে উপথজেলা দুথর্যোগ বথ্যবস্থাপনা বিভাগ থেথকে সাতটি ইউনিয়থনেথর চেয়ারমথ্যানথদের অনুকূথলে ৭০ মেথট্রিক টন চালের ছাড়পত্র দেয়া হয়েছিল। আর গত ৬ জুন জেলা থেথকে বরাদ্দ পাওয়া ১২০ মেথট্রিক টন চালের ছাড়পত্র অথদ্যাবথধি দেয়া হয়থনি। এ ছাড়া নগদ টাকা, শিশু খাদথ্য ও গো-খাথদ্যের কোনো টাকাও চেয়ারমথ্যানথদের দেয়া হয়থনি।
মে মাসে ছাড়পত্র দেয়া চাথলের মথধ্যে আমাদী ইউনিয়থনে ৭ মেথট্রিক টন, বাগালী ইউনিয়থনে ৭ মেথট্রিক টন, কয়রা সদর ইউনিয়থনে ১১ মেথট্রিক টন, মথহেশ্বরীপুরে ১৩ মেথট্রিক টন, উত্তর বেদকাথশিতে ১২ মেথট্রিক টন, দথক্ষিণ বেদকাশিতে ১৩ মেথট্রিক টন ও মহারাজপুর ইউনিয়থনে সাত মেথট্রিক টন চাল দেয়া হয়। অথভিথযোগ রথয়েথছে, ইউনিয়ন পথর্যাথয়ে বরাদ্দ দেয়া চালের অথধিকাংশই বিতরণ না কথরে বিথক্রি কথরে দেয়া হথয়েথছে।
ইউনিয়ন পর্যাথয়ে বরাদ্দ ও বিতরথণের বিষয়ে সম্প্রতি ইনিয়ন পরিষদ চেয়ারমথ্যান, মেম্বার ও সথচিবথদের সাথথে কথা বথলে ভিন্ন ভিন্ন তথথ্য পাওয়া যায়। চেয়ারমথ্যানদের কথয়েকজন বিতরণ সম্পন্ন কথরেথছেন জানাথলেও মাস্টার রোল জমা দেননি। এমনথকি বিতরণকৃত এলাকায় খোঁজ নিথয়ে তাদের বক্তব্যেও সতথ্যতা মেথলেথনি। এ ছাড়া কথয়েকজন টথ্যাগ অথফিসারের সাথথে কথা বলথলে থবিতরথণের বিষথয়ে তারা অবগত নন বথলে জানান। ঝথড়ের সময় শুকনা খাবার, খিচুড়ি বিতরণসহ অনথ্যানথ্য কাথজে ১২ লাখ থেথকে ১৩ লাখ টাকা ব্যয় ও শিশুখাদথ্য বিতরথণেথর কথা জানাথনো হথলেও বাস্তবে তার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়থনি।
কয়রা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মামুনার রশিদ গত ১২ জুন জানান, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখা থেকে কয়রা উপথজেলায় ৭০ মেথট্রিক টন জিআর চাল এসেথছে। সেই চালগুলো ১০ কেজি করে বিতরণের জন্য চেয়ারম্যানদের অনুকূলে ডিও করে দেয়া হয়েছে। তবে কোনো মাস্টাররোল এখনো পাইনি। এ ছাড়া ১২-১৩ লাখ নগদ টাকা ইমারজেন্সি সময়ে ব্যয় করা হয়েছে। গো-খাদ্যের চার লাখ ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে দেয়া হবে।
ইউনিয়ন পথরিষথদের অথধিকাংশ চেয়ারমথ্যান পিআইও অথফিস থেথকে দেয়া তথথ্য অনুযাথয়ি বরাদ্দ পানথনি বথলে জানালেও পথরে তাথদের ভাষথ্য পথরিবর্তন কথরেন। উপথজেলা নির্বাহী কর্মকথর্তা (ভারপ্রাপ্ত) তাথরিক উজ-জামান ৭০ মেথট্রিক টন চাল ও ৭ লাখ টাকা বরাদ্দের কথা জানান। ভুথল তথথ্য দেয়াথর বিষথয় এবং মাস্টারথরোথলসহ চাথল ও টাকা বথ্যয়ের অনিয়থম সম্পর্কে পিআইও মামুনার রশিদ বথলেন, ১২০ মেথট্রিক টন চাথল বরাথদ্দের চিথঠি দেথরিথতে হাথতে পাই। এখনো কিছু টাকা ও চাল বিতরণ বাথকি রথয়েথছে।
খুলনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবদুল করিম জানান, জিআর এর চাল বিথক্রির কোনো সুথযোগ নেই। অনিয়মের সুথনির্দিষ্ট অথভিথযোগ পেথলে তদন্ত সাথপেথক্ষে বথ্যবস্থা নেয়া হথবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা