নাঙ্গলকোটে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং : জনজীবন বিপর্যন্ত
- নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) সংবাদদাতা
- ৩০ জুন ২০২৪, ০০:০৫
নাঙ্গলকোটে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং চলছে। গত চার-পাঁচ দিন ধরে প্রতিদিন অন্তত ১৮ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কবলে পড়তে হচ্ছে। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। লোডশেডিংয়ের সাথে তীব্র গরমে মানুষের যেন নাভিশ্বাস উঠছে।
সকাল থেকে ভোর পর্যন্ত ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় বাসাবাড়িতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। রাতের অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে। নাঙ্গলকোট পৌর সদরসহ ১৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজারে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা পরিচালনা করতে গিয়ে লোকসান গুনতে হচ্ছে। বিশেষ করে ফাস্টফুডের দোকান, করাত কল, ধান, আটাসহ মসলার মিলগুলোতে ব্যবসায়ীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হচ্ছে বিদ্যুতের অপেক্ষায়। এ ছাড়া নিয়মিত বিদ্যুৎ না থাকায় অতিরিক্ত গরমে পোলট্রি খামারগুলোতে মুরগির বাচ্চা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে।
লোডশেডিংয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের সাবস্টেশনগুলোতে যান্ত্রিক ত্রুটি, বিদ্যুৎ লাইনের উপরের গাছ কর্তনসহ ছোটখাটো অজুহাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হচ্ছে।
এ দিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুতের লোডশেডিং থাকা সত্ত্বেও বিদ্যুতের অতিরিক্ত বিল নিয়েও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে মে মাসে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল নিয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগের যেন অন্ত নেই। অধিকাংশ গ্রাহকের এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে দ্বিগুণ বিল করা হয়েছে বলে অনেক গ্রাহক অভিযোগ করেন। গ্রাহকরা দলবেঁধে নাঙ্গলকোট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪ কার্যালয়ে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল কেন নেয়া হচ্ছে এ বিষয়ে অভিযোগ তোলেন। কিন্তু এতেও কোনো প্রতিকার পাননি বলে অনেক গ্রাহক জানান। উল্টো তাদেরকে মিটার পরিদর্শন এবং মিটার পরিবর্তন নিয়ে আরো ভোগান্তিতে ফেলে দেয়া হচ্ছে।
নাঙ্গলকোট পল্লøী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪-এর আওতাধীন একটি পৌরসভাসহ ১৬টি ইউনিয়নে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রায় ৯৫ হাজার গ্রাহক রয়েছে। নাঙ্গলকোটে বিদ্যুতের মোট চাহিদা রয়েছে ৩০ মেগাওয়াট। চাহিদার বিপরীতে মাত্র ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে।
নাঙ্গলকোট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪ ডিজিএম কামাল পাশা জানান, কয়লা সঙ্কটের কারণে কয়েকটি কয়লাচালিত বিদ্যুৎ প্লান্ট বন্ধ থাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিং চলছে। নাঙ্গলকোটে বিদ্যুতের চাহিদা ৩০ মেগাওয়াটের বিপরীতে ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। আশা করি, আগামী দু-এক দিনের মধ্যে লোডশেডিং কমে যাবে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা