শিক্ষকতার পাশাপাশি ছাদ বাগান করে সফল শামীম আহমেদ
- উত্তম গোলদার মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী)
- ২৮ জুন ২০২৪, ০০:০৫
বর্তমানে সারা দেশে ফসফল জমি কমছে বাড়ছে বসতি। তাই অল্প জায়গায় অধিক ফল-ফসল উৎপাদন করা যায় তা নিয়ে সরকারের নানা উদ্যোগ রয়েছে। তাই বিভিন্ন শহরে বড় বড় ভবনের ছাদ বাগানে বিভিন্ন ধরনের ফল ও সবজি চাষে ঝুঁকছেন বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ। এসব বাগান করে সফলতাও পাচ্ছেন অনেকে। শখ থেকে হয়ে উঠছে বাণিজ্যিক চিন্তাধারাও। আর এই শখ এবং বাণিজ্যিক চিন্তাধারা মাথায় রেখে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের সুবিদখালী বাজার এলাকায় এম শামীম আহমেদ নাসির নিজ বাড়ির ছাদে গড়ে তুলেছেন, অরিজিনাল থাই ড্রাগন লাল, সাদা হলুদ প্রজাতির বাগান। এ ছাড়াও আম্রপলি, হাঁড়িভাঙ্গা, বারোমাসি পেয়ারাসহ বিভিন্ন প্রকার মৌসুমি শাকসবজি রয়েছে তার বাগানে।
শামীম উপজেলার এন এস আমড়াগাছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবং বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি মির্জাগঞ্জ উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক।
এ ব্যাপারে শামীম জানান, ২০২০ সালের করোনাকালীন বিদ্যালয়ে ছুটি থাকায় ড্রাগন ফলের গাছ লাগিয়ে ছাদবাগান শুরু করি। ছোট বেলা থেকেই বাগান করা আমার শখ। বর্তমানে আমার ছাদবাগানে ১০০টি অরিজিনাল থাই ড্রাগন লাল, সাদা ও হলুদ ড্রাগন ছাড়াও আম্রপলি, হাঁড়িভাঙ্গা, বারোমাসি পেয়ারা ও বিভিন্ন প্রকার মৌসুমি শাকসবজি রয়েছে। তিনি সব ধরনের সবজি ও ফলে জৈবসার ব্যবহার করেন। পরিবারের চাহিদা পূরণ করে অতিরিক্ত ফল ও সবজি আত্মীয়স্বজনের মধ্যে বণ্টন করেন।
তিনি আরো বলেন, ছাদ বাগানে পরিশ্রম ও খরচ বেশি তবে বাগান থাকে নিরাপদ। অনেকে আমার বাগান দেখে উৎসাহিত হচ্ছেন। আমি তাদের ছাদ বাগান করার পরামর্শ দেই। তবে আমার মতো মির্জাগঞ্জের সুবিদখালীতে আরো দু’জন ছাদবাগান করে সফলতা পেয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আবদ্ল্লুাহ আল-মামুন জানান, শিক্ষকতার পাশাপাশি শামীম আহমেদের মতো প্রত্যেক নাগরিকের বাগান করার দিকে গুরুত্ব দেয়া উচিত। গত কয়েক বছরে মির্জাগঞ্জে ছাদ বাগানের সংখ্যা বেড়েছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সবাইকে নিয়মিত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা