রাঙ্গাবালীতে ঋণের কিস্তি না দেয়ায় নারী লাঞ্ছিত
- পায়রা বন্দর (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা
- ২৮ জুন ২০২৪, ০০:০৫
ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করায় থানার ভয় দেখিয়ে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে এক নারীকে এনজিও অফিসে ডেকে এনে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে শাখা ব্যবস্থাপক ও কর্মীদের বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার রাতে বেসরকারি এনজিও কোডেক’র বাহেরচর শাখায় এ ঘটনা ঘটে। লাঞ্ছিত হওয়া নারী সদস্যের নাম আরজু বেগম। তার বাড়ি উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের চতলাখালী গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের কৃষক মিজানুর ঘরামীর স্ত্রী।
গৃহিণী আরজু বেগম বলেন, তার নাম ব্যবহার করে ঋণ ছাড়িয়ে টাকা নিয়ে যান তার স্বামী। অর্ধেকের বেশি কিস্তি দিয়ে তার স্বামী এলাকা থেকে লাপাত্তা হয়ে গেছে। তাই কিস্তির টাকার জন্য এনজিও কর্মীরা এখন আমাকে চাপ প্রয়োগ করছে। কিন্তু টাকা পরিশোধের কোনো সামর্থ্যই নেই আমার।
আরজু বেগম আরো জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি ওই ইউনিয়নের বড়ইতলা বাজারে গেলে ঋণের জামিনদার দেলোয়ার হোসেন তাকে আটকে আরো ৬-৭ জন এনজিও কর্মীকে এবং এক পুলিশ সদস্যকে ডেকে এনে তাকে কোডেক অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে তারা টাকা পরিশোধের জন্য চাপ দেয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও এক পর্যায় তাকে লাঞ্ছিত করে। পরে টাকা পরিশোধের শর্তে তাকে রাত ১০ টার দিকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে কোডেকের বাহেরচর শাখা ব্যবস্থাপক হুমায়ুন কবির বলেন, আরজু বেগম এক লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন। কয়েকটি কিস্তি দেয়ার পর তার কাছে মোট ৪২ হাজার টাকা বকেয়া আছে। কিন্তু পর পর তিন মাস তিনি কিস্তি দিচ্ছেন না। পরে বিষয়টি নিয়ে আরজু বেগমকে অফিসে এনে আমরা অফিসে বসি। এ সময় আরজুর সাথে বাগি¦তণ্ডা হয়। কিন্তু তার গায়ে কেউ হাত দেয়নি।
এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী থানার ওসি হেলাল উদ্দিন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই এবং আমাকে কেউ বলেওনি। খোঁজ নিয়ে দেখবো।