ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে ৫০ হাজার মানুষের দুর্ভোগ
- কামাল হোসেন খান বেতাগী (বরগুনা)
- ২৭ জুন ২০২৪, ০০:০৫
বরগুনার বেতাগী উপজেলার সদর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুরা গ্রামের আকনবাড়ির লোহার সেতুটির বেহাল দশা। জোড়াতালির কাঠের পাটাতন দিয়ে অর্ধযুগ অতিক্রম করলেও পুনঃসংস্কার করা হয়নি। নড়বড়ে সেতুটি যে কোনো সময় ধসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ও যোগাযোগ বিছিন্নের আশঙ্কা করছেন দুই উপজেলাবাসী।
জানা গেছে, উপজেলার বেতাগী সদর ইউনিয়নের ভোলানাথপুর বাজারসংলগ্ন লক্ষ্মীপুরা প্রামের আকনবাড়ির লোহার সেতুটি ২০০৭-২০০৮ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ ৯১ লাখ ৬৩ হাজার ৫৭৭ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করে। ২০১৮ সালে ১৬ মে এ সেতুর মধ্যভাগের লোহার অ্যাঙ্গেল ও সিমেন্টের স্লাব ভেঙে পড়ে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যায়। এর দুই সপ্তাহ পরে উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে সেতুর ভাঙা অংশে কাঠের পাটাতন দিয়ে মেরামত করা হয়। সেই থেকে সেতুর অর্ধযুগ অতিবাহিত হলেও পুনর্র্নির্মাণ কিংবা সংস্কার করা হয়নি। সেতুর মধ্যভাগের লোহার কাঠামোর মেইন পোস্ট হেলে গিয়ে টপ স্লাব দেবে গেছে।
স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম ফারুক সিকদার বলেন, বেড়েরধন নদীতে লক্ষ্মীপুরা আকনবাড়ির খেয়াঘাট নাম এলাকার লোহার সেতুটি নাজুক অবস্থায় রয়েছে। জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে এটি দ্রুত নির্মাণ করা প্রয়োজন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পণ্যবাহী কোনো যানবাহন চলাচল করলে দোলনার মতো দুলতে থাকে। এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে বেতাগী সদর ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও পৌর শহরে আসে। এ ছাড়া ভোলানাথপুর, বাসন্ডা, বেতাগী পৌরসভা, পার্শ্ববর্তী উপজেলা মির্জাগঞ্জের শ্রীনগর, চৈতা এবং মহিষকাটা এলাকায় যাতায়াত করে। প্রতিদিন সহস্রাধিক মোটরবাইক, মাহিন্দ্রা, প্রাইভেট কার, অটোরিকশা ও ট্রাকসহ পণ্যবাহী ভারী যানবাহন চলাচল করে। আর এতে বেতাগী সদর ও লক্ষ্মীপুরা গ্রামসহ দুই পাড়ের ৫০ হাজার মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
বেতাগী সদর ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির খলিফা বলেন, প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করে শিগগিরই কাজ শুরু করা হবে। উপজেলা প্রকৌশলী শেখ তৌফিক আজিজ বলেন, এ সেতু পুনর্র্নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ হলেই কাজ শুরু করা হবে।