মধুর শৈশবে দুরন্ত শিশু-কিশোররা
- মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
- ২৬ জুন ২০২৪, ০০:০৫
বানের পানিতে টইটুম্বর মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওর। জলে ডুবে আছে বাড়িঘর, রাস্তা ও মাঠঘাট। চারদিকে জলাধারের স্বচ্ছ পানি। স্কুল বন্ধ তাই সময় কাটাতে ঘরে বন্ধি হয়ে থাকাটা শিশু-কিশোরদের জন্য অস্বস্তিকর। তাই কেহ দমাতে পারেনি তাদের। গ্রামের দুরন্ত শিশু-কিশোরেরা পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে আনন্দ উচ্ছ্বাসে মেতেছে।
মধুর শৈশবে এমন আনন্দঘন মুহূর্তে আলোচিত রাসেলভাইপার সাপের ভয়কে জয় করে, পানিতে সাঁতার কাটছে তারা। একটু প্রশান্তি আর ছেলেবেলার জানান দিতে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার হাকালুকি হাওরের জাবদা এলাকার স্বচ্ছ পানিতে দলবেঁধে নেমেছে এলাকার শিশু-কিশোররা। জলখেলিতে তারা যেন হাওরের বুকে নিজেদের হারিয়ে ফেলতে চায়।
গত সোমবার সরেজমিনে গেলে এমন দৃশ্যর দেখা মিলে ওই এলাকায়। বয়স্কারাও থেমে নেই, জাল দিয়ে মাছ ধরতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তারা। বানের পানি ঘরবাড়ি ডুবে গেলেও হাওর পারের মানুষজন দুঃখ ভুলতে জলের সাথে মাখামাখি করেন। শত বেদনার মাঝেও বিরাজ করছে কি যেন এক আনন্দ অনুভূতি।
হাওরের পানিতে থাকা সকল জীববৈচিত্র্যের সাথে যেন তাদের একটা সখ্য গড়ে উঠেছে। ভয়ভীতির কোনো বালাই নেই তাদের। দীর্ঘ সময় ধরে পানিতে তাদের ঝাঁপাঝাঁপিতে কোনো ক্লান্তি নেই। মনের সুখে জলে গা ভাসিয়ে সাঁতার কাটছে।
কুলাউড়া উপজেলার মাধবপুর গ্রামের নবম শ্রেণী পড়–য়া মাহিদের সাথে কথা হলে সে বলে, স্কুল বন্ধ বাড়ির উঠান ও খেলার মাঠ ডুবে গেছে পানিতে। প্রতিদিন দুপুর ১২টা বাজলে আমরা গ্রামের সব বন্ধুরা মিলে জাবদা রাস্তায় এসে লাফ দিয়ে পানিতে পরে মনের সুখে গোসল করি সাঁতারকাটি।
আরাফাত, সাদিকুল, তুহিন ও মান্নানের কাছে রাসেল ভাইপারের কথা জিজ্ঞেস করলে তারা বলে, আমরা সাপ জোক ভয় করি না। আর রাসেল ভাইপার এ দিকে এখনো আসেনি।
ভুকশিমইল গ্রামের জেলে জাল ফেলে মাছ ধরতে এসেছেন। তিনি বলেন, বন্যায় আমাদের সাময়িক কষ্ট হয় ঠিকই কিন্তু এতে আশীর্বাদও আছে। প্রাকৃতিকভাবে মাছের উৎপাদন বাড়ে। ক্ষেত খামারও ভালো হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা