চৌগাছায় অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন
- এম এ রহিম চৌগাছা (যশোর)
- ২৬ জুন ২০২৪, ০০:০৫
যশোরের চৌগাছা উপজেলায় শুরু হয়েছে তীব্র লোডশেডিং। ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে, ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেবামূলক কর্মকাণ্ড চিকিৎসাসহ কলকারখানা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
অধিকাংশ সময়ে দেখা যায় গভীর রাতে লোডশেডিং শুরু হয়ে ভোর পর্যন্ত বিদ্যুৎ নেই। এক দিকে তীব্র গরমে নাভিশ্বাস, অন্য দিকে লোডশেডিংয়ের সুযোগ নিয়ে বেড়েছে চুরি। প্রতিদিন ছোট-বড় কোনো না কোনো চুরির ঘটনা ঘটছে। রাতে ঘুমাতে না পেরে এলাকাবাসী সড়ক, ব্রিজ আর কালভার্টের ওপর বসে গল্প-গুজব করেই রাত কাটাচ্ছেন।
উপজেলার পৌরসদরসহ গ্রাম এলাকায় রাত-দিন সমান তালের লোডশেডিংয়ের পরিবর্তন চায় এলাকাবাসী। সারাদিন ক্রমাগত বিদ্যুতের ভেলকিবাজির কারণে শিক্ষার্থী, মসজিদের মুসল্লি ও ব্যবসায়ীদেরকে নিদারুণ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে গণমাধ্যমে যারা সংবাদ পাঠান তাদের অবস্থা হয় আরো শোচনীয়।
চৌগাছা পৌর শহরের চা দোকানি আব্দুল মুন্নাফ কালু মিয়া ও মুদি ব্যবসায়ী নুর ইসলামসহ একাধিক গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন উপজেলার বিদ্যুৎ অফিসগুলোতে ঘাপটি মেরে যেসব কর্মকর্তারা বসে আছে তারা ইচ্ছামাফিক লোডশেডিং দিয়ে সরকারের ভাবমর্যাদাক্ষুণ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, উপজেলার অবৈধ সংযোগগুলো চিহ্নিত করে লাইন বিচ্ছিন্ন করলে এ এলাকার বিদ্যুৎ ঘাটতি অনেকটা হ্রাস পাবে। অনেকে আবার বেটারি চালিত অটোরিকশা ও ভ্যানকেও দায়ী করছেন।
এ বিষয়ে যশোর পল্লিবিদ্যুৎ সমিতি-১ চৌগাছা জোনাল অফিসের প্রকৌশলী ছাইজুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক রাখতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। রুটিং লোডশেডিংয়ের পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গাছের ডাল পড়াসহ বিভিন্ন সমস্যায় হঠাৎ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। সেই সমস্যা খুঁজে পেতে আমাদের সময় লাগে। ফলে গ্রাহক মনে করেন এটাও লোডশেডিংয়ের অংশ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা