১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

চুয়াডাঙ্গায় ডায়রিয়া রোগী বৃদ্ধি

এক নারীর মৃত্যু, ৭ দিনে ভর্তি ১৭৩
-

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে বৃদ্ধি পেয়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। অন্যদিকে রোগীর চাপ রয়েছে বহিঃবিভাগেও। বহির্বিভাগে প্রতিদিন ডায়রিয়ায় আক্রাক্ত হয়ে প্রচুর রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। অপরদিকে, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চুয়াডাঙ্গার বাগানপাড়ার মৃত্যু আশরাফ আলীর স্ত্রী আছিয়া খাতুনের (৭৫) মৃত্যু হয়েছে। গত রোববার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা: নাজমুস শাকিব আছিয়া খাতুনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রোববার সকালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে আছিয়া খাতুন সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। দুপুরে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ড সুত্রে জানা গেছে, গত সাত দিনে অর্থাৎ ১৮ জুন থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত ডাইরিয়া ওয়ার্ডের নারী, শিশু, বয়োবৃদ্ধসহ মোট ১৭৩ রোগী ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া বহির্বিভাগে প্রতিদিন ডায়রিয়া ও আবহাওয়াজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আসমা নামে এক রোগীর স্বজন বলেন, ঈদের পর থেকে পেটের পিড়ায় ভুগছেন আমার দাদি। গত রোববার থেকে প্রচণ্ড পেটে ব্যথা শুরু হয়। এরপর ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়। হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে ভর্তি করেছেন।
সজিব নামের এক রোগী বলেন, কুরবারি ঈদের পর দিন থেকে বমি ও অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা শুরু হয়েছে। দু’দিন আগে ভাজাপোড়া-চটপটি খাওয়ার পরই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনুভব করি। স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেয়ে কমেনি। এরপর সকাল থেকে থেকে হঠাৎ শুরু হয় ডায়রিয়া। তাই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা: ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, ডায়রিয়া ওয়ার্ডে নারীর মৃত্যুর খবর আমার জানা নেই। তিনি আরো বলেন, ঈদের মধ্যে গোশত বেশি খাওয়া, এবং বাহিরে ঘুরতে গিয়ে ফুচকা, চটপটি ইত্যাদি ফাস্ট ফুড আইটেম বেশি খাওয়ার কারনে এবং তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ডায়রিয়া হলে প্রচুর স্যালাইন পানি পানসহ সতর্ক থাকতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতারের দাবি এক দিনে দেড় হাজার মার্কিনির সাজা মাফ করলেন বাইডেন ‘দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই’ পাটখাতে সংকট সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে : পাট উপদেষ্টা তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবি : ৩ দিন সাগরে ভেসে ছিল শিশুটি বিএসএমএমইউ’র ভিসিকে অবরুদ্ধ করে স্নাতকোত্তর কোর্সে ঢোকার চেষ্টা ১৩ চিকিৎসকের অস্ট্রেলিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশী শিক্ষক নিহত ডিজিটাল যুগে ইসলামিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও চ্যালেঞ্জ থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ও ফানুস নিষিদ্ধ রিজার্ভ বেড়ে এক হাজার ৯০০ কোটির ঘরে এবার শীত কম হবে, নাকি বেশি

সকল