চৌগাছায় মধ্যবিত্তদেরও সংসার চালানো দায়
- এম এ রহিম চৌগাছা (যশোর)
- ২৪ জুন ২০২৪, ০০:০৫
যশোরের চৌগাছায় নিত্যপণ্যের দামে আগুন মধ্যবিত্তদেরও সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে। এ অঞ্চলে প্রতিটি বাজারে নিত্যপণ্যের দাম এখন আকাশছোঁয়া। চাল, ডাল, তেল, চিনি, আটা, ময়দা, মসলা, শাকসবজিসহ প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়েই চলছে। কাঁচামরিচ ২৫০ কেজি, প্রতিটি ডিমের দাম ১৫ টাকা। মাছ-গোশতে হাত দেয়ার উপায় নেই। আলু, বেগুন, কলা, ঝিঙে ঢেঁড়সসহ সবজির দাম দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। ফলে মধ্যবিত্তদের জন্যও বাজার করা আর্থিক ও মানসিক কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
যাদের সংসার দুবেলা আলুভর্তা ও ডাল খেয়ে কোনোভাবে চলত। তারাও এখন নিরুপায়। বাড়তি চাল-ডালের দামের কারণে ডাল-ভাত জোগাড় করতেই হিমশিম খাচ্ছেন অধিকাংশ পরিবার। মানুষের জীবনযাত্রায় খরচ বেড়েই চলেছে। কিন্তু আয় বাড়ছে না। এতে অধিকাংশ ভোক্তার সংসার চালানোই কঠিন হয়ে পড়েছে।
গতকাল রোববার দেশের সীমান্তবর্তী চৌগাছা, পুড়াপাড়া, ধুলিয়ানী, চাঁদপাড়া, হাকিমপুর ও পাশাপোলসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, এ দিন প্রতি খাচি (৩০টি) ডিম বিক্রি হয়েছে ৩৮০ টাকা। আর পাড়া-মহল্লার মুদি দোকানে বিক্রি হয়েছে ১টি ডিম ১৫ টাকা। এক সপ্তাহ আগেও কিছুটা কম ছিল। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০-৮৫ টাকা। যা দুয়েক দিন আগে ৬০-৭০ টাকা ছিল। রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০, যা ১ সপ্তাহ আগেও ১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দেশী আদা বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৫০০ টাকা। যা আগে ৩০০ টাকা ছিল। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা। প্রতি কেজি আলু এখন ৬০-৬৫ টাকা। বেড়েছে সব ধরনের সবজির দামও।
উপজেলা সদরে বাজার করতে আসা আব্দুল মান্নান, আক্কাচ আলী, অধ্যাপক আব্দুল খালেক ও রবিউল ইসলাম বলেন, মাসে যে টাকা আয় হয়, স্ত্রী ছেলেমেয়ে ও পরিবার নিয়ে আমাদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। চৌগাছা বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা ভ্যানচালক শামছুল আলম বলেন, বাজারে পণ্যের দাম শুনে এখন ভয় হয়।
এ দিকে অনেক অসাধু ব্যবসায়ী এমন পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছেন। সুযোগ বুঝে পণ্যের দাম বাড়তি রেখে ভোক্তাদের পকেট কাটছেন। অনেক সময় একই সিন্ডিকেট চক্র বারবার ভোক্তার পকেট কাটলেও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হচ্ছে না। তাই বাজার মনিটরিংয়ের এ দিকে নজর দিতে জোর দাবি তাদের।
চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুস্মিতা শাহা বলেন, নিত্যপণ্যের বাজার ঠিক রাখতেই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং করা হয়। তবে অসাধু পন্থায় কেউ পণ্যের দাম বাড়ালে, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা