কালীগঞ্জে ভিজিএফের ২৬৪ বস্তা চাল বিক্রির অভিযোগ
- কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা
- ২৩ জুন ২০২৪, ০২:১২
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ঈদুল আজহা উপলক্ষে দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ ভিজিএফের চাল বিক্রির অভিযোগ উঠেছে তিন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার সকালে এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, ঈদের দুই দিন আগে গত ১৫ জুন কালীগঞ্জ খাদ্যগুদাম থেকে ৪টি শ্যালো ইঞ্জিন চালিত নসিমনে করে ২৬৪ বস্তা ভিজিএফের চাল নিয়ে যাওয়া হয় মহেশপুরের খালিশপুর বাজারের একটি দোকানে। প্রতিটি বস্তা খাদ্য অধিদফতরের স্টিকারযুক্ত। গাড়ির চালকের কাছ থেকে পাওয়া তিনটি বিলি আদেশগুলোতে কালীগঞ্জ উপজেলার ৪ নং নিয়ামতপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ রনি লস্কর, ৬ নং ত্রিলোচনপুর ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ঋতু ও ৮ নং মালিয়াট ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান খানের নামে বরাদ্দকৃত চাল। এর মধ্যে চেয়ারম্যান রাজুর জন্য ২.৫ মেট্রিক টন, চেয়ারম্যান নজরুল ৩ মেট্রিক টন ও আজিজুর রহমানের জন্য ২ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়।
উপজেলা অফিস সূত্রে জানা গেছে, কালীগঞ্জ খাদ্যগুদাম থেকে বের হওয়া এ চাল দরিদ্র মানুষের জন্য বিশেষ বরাদ্দের। ভিডিওতে এক গাড়ির চালক বলেন, কালীগঞ্জ খাদ্যগুদাম থেকে চাল নিয়ে খালিশপুর বাজারের দীপু দাদার দোকানে নিয়ে যাচ্ছিলাম।
ভিডিও ধারণ করা যুবক রাকিবুল ইসলাম রকি বলেন, গত ১৫ জুন বিকেল ৫টার দিকে সরকারি ভিজিএফের চাল নিয়ে যাওয়ার ভিডিওটি ধারণ করি।
চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। খোঁজ নিচ্ছি। মুঠোফোনে চেয়ারম্যান নজরুল হিজড়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফোনে কিছুই বলবো না। আপনি সরাসরি ইউনিয়নে আসলে সব বলবো।
চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান জানান, গরিবের এক কেজি চালও আমি এদিক ওদিক হতে দেইনি। বিক্রি করার প্রশ্নই আসে না।
কালীগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মাহদী হাসান শিহাব বলেন, গত ১৫ জুন ডিও লেটার দেখালে সরকারি বরাদ্দের চাল গুদাম থেকে দেয়া হয়েছে। এখন এই চাল কে কোথায় বিক্রি করেছে সেটা আমি জানি না।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশরাত জাহান বলেন, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। তবে সেটি ভিজিএফ না অন্য কোনো বরাদ্দের চাল কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা