অপরিকল্পিত উন্নয়নই পাহাড় ধসের কারণ
- হুমায়ুন কবির জুশান উখিয়া (কক্সবাজার)
- ২২ জুন ২০২৪, ০২:৫৫
পাহাড় কেটে থরে থরে সাজানো হয়েছে রোহিঙ্গাদের ঘর। যেনতেনভাবে তৈরি করা হয়েছে রোহিঙ্গাদের আবাসন ব্যবস্থা। ত্রিপলের ছাউনিতে অনিয়ন্ত্রিতভাবে রোহিঙ্গাদের থাকার ব্যবস্থা করা হলেও বন্যপ্রাণী হারিয়েছে তাদের আশ্রয়স্থল। ভূমিধসপ্রবণ এলাকা হিসেবে ঝুঁকিপূর্ণ কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো। পাহাড় বেষ্টিত এই অঞ্চলে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে আশ্রয় নেয়া ১২ লাখের অধিক রোহিঙ্গার বসবাস। পাহাড় কেটে থরে থরে গড়ে ওঠা রোহিঙ্গাদের ঝুপড়ি ঘরগুলো ত্রিপল আর বাঁশের কাঠামোতে তৈরি। ফলে বর্ষা এলেই পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিতে বসবাস করা রোহিঙ্গারা সব সময় পাহাড় ধসের আতঙ্কে থাকেন। গত মঙ্গলবার রাত থেকে হঠাৎ শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টিপাতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চারটি স্থানে পাহাড় ধসে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের ১০ জন রোহিঙ্গা ও একজন স্থানীয় স্কুল শিক্ষার্থী।
পাহাড় ধসে নিহতরা হলেন- ৯ নম্বর ক্যাম্পের ব্লক ১০-এর আবু মেহের, আবুল কালাম, সলিমা খাতুন, জয়নব বিবি, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কেরানীহাট এলাকার মোহাম্মদ হোসেন আহমেদ, ওই ক্যাম্পের আই-৪ ব্লকের আনোয়ারা বেগম ও আই-৯ ব্লকের মোহাম্মদ সালমান। ৮ নম্বর ক্যাম্পে নিহত হন, বি-৮২ ব্লকের মোহাম্মদ হারেজের ছেলে মোহাম্মদ হারেস। ১৪ নম্বর ক্যাম্পে নিহত হন উখিয়ার থাইংখালী এলাকার শাহ আলমের ছেলে আব্দুল করিম। ১ নম্বর ক্যাম্পে নিহত হন, এফ-৫ ব্লকের পুতুনী বেগম।
স্থানীয় জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন, টেকসই উন্নয়ন না করে যেনতেনভাবে কাজ করে এনজিওগুলো রোহিঙ্গাদের নিয়ে ব্যবসা করছে। ক্যাম্পে অল্প বৃষ্টিতে থৈ থৈ করে পানি। অনেক সময় স্থানীয়দের দোকানপাটে রোহিঙ্গাদের পাহাড়ের পানি এসে ঢুকে পড়ে। পর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই।