১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সিংগাইরে আঞ্চলিক মহাসড়ক ঘেঁষে ময়লার ভাগাড়, দুর্ভোগে পথচারীরা

-

হেমায়েতপুর-সিঙ্গাইর-মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের সিঙ্গাইর বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশে সড়ক ঘেঁষে অনেকটা জায়গা পরিণত হয়েছে ময়লার ভাগাড়ে। হোটেল-রেস্টুরেন্টের উচ্ছিষ্টাংশ, প্রাইভেট ক্লিনিক হাসপাতাল ও পশুর বর্জ্য নিয়মিত ফেলায় রোদে শুকিয়ে বৃষ্টিতে পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন পথচারীরা, চলাচল করতে হচ্ছে নাক বন্ধ করে। দেখার যেন কেউ নেই।
সরেজমিন বৃহস্পতিবার দেখা যায়, পৌর সদরের সিঙ্গাইর বাসস্ট্যান্ডকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠেছে সিএনজিচালিত অটো ও হ্যালো বাইক স্ট্যান্ড, গোশত বিক্রয় কেন্দ্র, হোটেল-রেস্টুরেন্ট, ক্লিনিক-হাসপাতালসহ বিভিন্ন ধরনের শতাধিক দোকানপাট। দিন রাত অসংখ্য যানবাহন ও জনসাধারণ এ রাস্তায় চলাচল করে থাকে। বাসস্ট্যান্ড হওয়ায় বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের আনাগোনায় মুখরিত থাকে এলাকাটি।
অথচ এ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গড়ে ওঠা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য ও উচ্ছিষ্টাংশ ফেলা হচ্ছে পশ্চিম পাশেই মহাসড়ক ঘেঁষে। দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত এ ময়লা ফেলায় ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। আর এ ময়লার ভাগাড় জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকির কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। এ জায়গায় জন্ম নেয়া বায়ুবাহিত রোগ-বালাই ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। তারা এটা অপসারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সিঙ্গাইর বাসস্ট্যান্ড দোকান মালিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ রকিবুল হাসান বিশ্বাস বলেন, পশুর বর্জ্য, প্রাইভেট ক্লিনিক ও হাসপাতালের যাবতীয় ময়লা ও হোটেল-রেস্টুরেন্টের উচ্ছিষ্ট ওই স্থানে ফেলায় আশপাশের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। কেউ কথা শুনছে না। একটা বাজে অবস্থা বিরাজ করছে। রাস্তা দিয়ে চলাচলই দায় হয়ে পড়েছে। ওই স্থানে ময়লা ফেলা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবিও জানান তিনি।
সিঙ্গাইর পৌরসভার মেয়র আবু নাঈম মো: বাশার বলেন, ময়লা ফেলার জন্য আমাদের কোনো ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় আপাতত কোনো পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে সিঙ্গাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ কুমার বসু বলেন, ওখান থেকে ময়লা অপসারণের দ্রুত একটা ব্যবস্থা নিচ্ছি।

 


আরো সংবাদ



premium cement