৩০ বছর পর শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা
- চাটমোহর (পাবনা) সংবাদদাতা
- ২০ জুন ২০২৪, ০০:১২
‘বন্ধুর টানে বন্ধুর প্রাণে এসো মিলি প্রাণের বিদ্যাপিঠে’ এ স্লোগানে ঈদুল আযহার পরেরদিন মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হলো পাবনার চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়ন উচ্চবিদ্যালয়ের ১৯৯৩-৯৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা।
১৯৯৩-৯৪ এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, বিদ্যালয়ের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সাবেক সহকারী প্রধান শিক্ষক সদর উদ্দিন, শিক্ষক আফতাব হোসেন, এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের উপদেষ্টা প্রকৌশলী ওসমান গণি, কারিগরি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আব্দুর রহিম।
প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য দেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সালাউদ্দিন সেলিম, মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলেটরি অথোরিটির নির্বাহী পরিচালক নুরে আলম মেহেদী সনজু, চাটমোহর মহিলা ডিগ্রি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, ভূমি কর্মকর্তা আফসার আলী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ১৯৯৩ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী আমজাদ হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক ১৯৯৪ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী মিলন মল্লিক বলেন, অনেকের সাথে ৩০ বছর পর দেখা হলো। আশা করি ভবিষ্যতেও এমন আয়োজনের ধারাবাহিকতা থাকবে। পারখিদিরপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফতাব হোসেন বলেন, আমরা খুশি ও গর্বিত আমার প্রিয়ছাত্রদের জন্য। তারা আজ আমাদের যে সম্মান দিলো তা আজীবন স্মৃতিতে গাথা থাকবে। সাবেক প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেন বলেন, নানা চড়াই উৎড়াই পার করে শিক্ষকদের পরিশ্রমে আজ এতদূর এসেছে স্কুলটি। এতদিন পর সবাইকে একসাথে দেখে আমার খুবই আনন্দ লাগছে।
শেষে মরহুম শিক্ষক-কর্মচারীদের মরণোত্তর সম্মাননা স্মারক এবং প্রাক্তন শিক্ষক, প্রাক্তন কর্মচারী, কৃতী শিক্ষার্থীদের সম্মাননা স্মারক তুলে দেয়া হয়। পরে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় র্যাফেল ড্র ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ১৯৯৩ ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থী কামাল হোসেন ও ১৯৯৪ ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থী আব্দুল কুদ্দুস।