গৃহবধূ রেশমা আত্মহত্যা করেছেন নাকি হত্যার শিকার
- সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা
- ১৫ জুন ২০২৪, ০০:০৫
গৃহবধূ রেশমা আত্মহত্যা করেছেন নাকি হত্যার শিকার হয়েছেন এখনো এমন আলোচনা সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জের সর্বত্র।
রেশমার চাচা আকবর আলী বলেন, গত ৩০ জানুয়ারি দুপুরে রেশমার স্বামী তাদের এলাকার একজনকে ফোনে জানায়, রেশমা গুরুতর অসুস্থ হয়েছে তাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে জরুরি বিভাগের সামনে স্ট্রেচারে রেশমার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখি। কিন্তু রেশমার স্বামী বা শ্বশুর কিংবা বাড়ির কাউকে সেখানে পাওয়া যায়নি।
ঘটনার চার দিন পরে রেশমা বেগমের স্বামী তাজুল ইসলাম, শ্বশুর আব্দুস সালাম, শাশুড়ি সাফিউন নেছা, স্বামীর ভাই কামরুল ইসলাম ও স্বামীর মামা আমির আলী ও আলা মিয়াকে বিবাদি করে জামালগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন রেশমার চাচা আকবর আলী। তাদের সবার বাড়ি জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনা বাজার ইউনিয়নের ফাজিলপুর গ্রামে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, প্রায় তিন বছর পূর্বে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের ঢুলপশি গ্রামের আরজ আলীর কন্যা (আকবর আলীর ভাতিজি) রেশমা বেগম ও ফাজিলপুর গ্রামের আব্দুস সালামের পুত্র তাজুল ইসলামের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই স্বামীসহ বিবাদিরা, বিভিন্ন সময়ে অত্যাচার নির্যাতন করত। নির্যাতনের বিষয়টি জানার পর রেশমার বাবার বাড়ির লোকজন পারিবারিকভাবে আপসের চেষ্টা করা হয়। এরপরেও বিবাদিরা রেশমার উপর অত্যাচার নির্যাতন বন্ধ করেনি। দিন দিন নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে গেলে রেশমা বেগম মোবাইল ফোনে বিষয়টি তার বাবার বাড়িতে ও চাচাকে (বাদি) জানানোর পর রেশমার স্বামীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে নির্যাতন করে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জামালগঞ্জ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, মামলায় নিহতের স্বামীসহ বিবাদিরা আদালতে হাজির হলে তার স্বামীকে আদালত জেলহাজতে পাঠান। বাকি বিবাদিরা জামিনে আছেন। কিছুদিন আগে রেশমার স্বামীও জামিন পান। এখনো মামলার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আদালতে রিপোর্ট পাঠানো হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা