১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

চলাচলের রাস্তা নেই আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগীদের

খোঁজ নেয় না কেউ
যাতায়াতের রাস্তা ছাড়া অনন্তবালা গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্প : নয়া দিগন্ত -

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় চলাচলের রাস্তা না থাকায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে দেয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগীরা পড়েছেন দুর্ভোগ ও ভোগান্তিতে। উপায়ন্তর না পেয়ে প্রকল্পসংলগ্ন ফসলি জমির ওপর দিয়ে যাতায়াত করছেন তারা। এ ভোগান্তি থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছেন উপকারভোগী ব্যক্তিরা। উপজেলার রায়নগর ইউনিয়নের অনন্তবালা গ্রামে এই আশ্রয়ণ প্রকল্পটি অবস্থিত।
উপজেলা প্রশাসন ও উপকারভোগী ব্যক্তিদের সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় ২০২২ সালের ২৬ এপ্রিল শিবগঞ্জ উপজেলায় তৃতীয় পর্যায়ে প্রথম ধাপে ৩৫টি এবং দ্বিতীয় ধাপে ৩৭টি পরিবারের মাঝে জমিসহ বাড়ি হস্তান্তর করা হয়। এর মধ্যে উপজেলার রায়নগর ইউনিয়নের অনন্তবালা গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্প রয়েছে। সেখানে ভূমি ও গৃহহীন সাতটি পরিবারকে দুই কক্ষবিশিষ্ট আধাপাকা ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়। প্রকল্পের প্রতিটি ঘরে শৌচাগার ও রান্নাঘরের সুবিধা রয়েছে।
কিন্তু আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে মূল সড়কে যাওয়ার কোনো রাস্তা নেই। ফলে সেখানে বসবাসকারী মানুষ আশপাশের ফসলি জমির ওপর দিয়ে পায়ে হেঁটে যাতায়াত করছেন। প্রায়ই সেসব জমির মালিকরা তাদের চলাচলে বাধা দেন ও গালমন্দ করেন। ফলে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা তাদের চলাচলে বিড়ম্বনা, দুর্ভোগ ও ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
সরেজমিনে অনন্ত বালা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, আশ্রয়ণ প্রকল্পের উত্তরে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে বাঁশঝাড় রয়েছে। পূর্ব পশ্চিম ও দক্ষিণ পাশের জমিগুলোতে মৌসুমি বিভিন্ন ফসল আবাদ করা হয়। বর্তমানে পশ্চিম পাশের কলার খেতের ভেতর দিয়ে হেঁটে মূল রাস্তায় উঠতে হচ্ছে উপকারভোগীদের।
এ সময় অনন্তবালা গ্রামের উপকারভোগী আনোয়ারা বেগম বলেন, আমরা এর আগে উত্তরপূর্ব পাশে অন্যের জমির ওপর দিয়ে হেঁটে মূল রাস্তায় উঠতাম। কিন্তু জমির মালিক রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছে। এখন একজনের কলার খেতের মধ্য দিয়ে যাতায়াত করছি। রাস্তা না থাকায় আমরা খুব কষ্টে আছি। আশ্রয়ণের আরেক বাসিন্দা দোলনা বেগম বলেন, প্রকল্পের টিউবওয়েলের পানিতে আয়রণ বেশি। এতে আমরা প্রায়ই অসুস্থ হচ্ছি। রেহেনা বেগম নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, কলার জমির মধ্যে দিয়ে মূল রাস্তায় ওঠা খুব কঠিন। বৃষ্টি এলে জমিতে কাঁদা হয়। তখন চলাচলই করা যায় না।
প্রকল্পসংলগ্ন জমির মালিক অনন্তবালা উত্তরপাড়া গ্রামের এনামুল হক বলেন, আমার জমির ওপর দিয়ে আমি তাদের যাতায়াত করতে দিব না। কারণ, আমাকে এখানে বাড়ি নির্মাণ করতে হবে। সরকার রাস্তা ছাড়া বাড়ি নির্মাণ করে দিয়েছে এই দায় আমি নিব কেন? এ ব্যাপারে ইউএনও তাহমিনা আক্তার বলেন, চলাচলের সমস্যার বিষয়টি অতি দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হবে। শিগগিরই ওই প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement