১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩০, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
চাহিদার চেয়ে দ্বিগুণ পশু প্রস্তুত

নীলফামারীতে জমে উঠেছে পশুর হাট

-

নীলফামারীতে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় এখন সরগরম হাটগুলো। অনেকে পছন্দের পশু কিনছেন, অনেকে দামদর করছেন। জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে নীলফামারীতে বাণিজ্যিক ও পারিবারিক খামার রয়েছে ৩০ হাজার ৯৭২টি। এসব খামারে গরু-ছাগল রয়েছে দুই লাখ ৭৬ হাজার ২০১টি। এখন খামারিদের কাছ থেকে পশু কিনে বিভিন্ন হাটে নিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
জেলা প্রাণী সম্পদ অফিস সূত্র জানায়, এ বছর জেলায় কোরবানির জন্য গরুর চাহিদা এক লাখ ৪৩ হাজার ১০৯টি। এই সংখ্যা চাহিদার চেয়ে এক লাখ ৩৩ হাজার ৯২টি। এর মধ্যে ষাঁড় ৪৮ হাজার ৩৮৫টি, বলদ ৩ হাজার ৮৪৯টি, গাভী ২৩ হাজার ৫৯৮টি, মহিষ ৩৩টি, ছাগল এক লাখ ৮৬ হাজার ১৫১টি, ভেড়া রয়েছে ১৪ হাজার ১৯৪টি। শাহীওয়াল, অস্ট্রেলিয়ান, ফ্রিজিয়ান, ক্রোস ও মুন্ডসহ বিভিন্ন জাতের গুরু রয়েছে খামারগুলোতে। ছাগলের মধ্যে রয়েছে হারিয়ানা, তোতাপুড়ি, রামছাগল ও দেশী জাতের ছাগল।
জেলা সদরের চওড়া ইউনিয়নের গরু খামারি রাশেদ ইসলাম বলেন, কোরবানির জন্য ২২টি ষাঁড় দেশীয় পদ্ধতিতে লালন-পালন করেছি। গরুগুলো অনেক বড় ও মোটাতাজা। ইতোমধ্যে গরু ব্যবসায়ীরা খামারে এসে দরদাম করছেন। বাজারে দেশী গরুর চাহিদা বেশি থাকায় এবার লাভের মুখ দেখা যেতে পারে।
নীলফামারী জেলায় বড় পশুর হাটগুলোর মধ্যে রয়েছে- ঢেলাপীর, নীলফামারী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন পশুর হাট, বসুনিয়া, টেংগনমারী, ভবানীগঞ্জ, রামগঞ্জ, বামনিয়া ও গোমনাতির হাট। ১০ জুন থেকে এসব হাট পুরোদমে জমে উঠেছে। সরেজমিনে হাটগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি গরু উঠছে হাটে।
ঢেলাপীর হাটের ইজারাদার মোতালেব হোসেন জানান, হাটগুলো জমে উঠলেও তেমন বিক্রি নেই। ক্রেতারা শুধু দরদাম ও যাচাই-বাছাই করে ফিরে যাচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রচুর গরু উঠেছে হাটে।
নীলফামারী জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: সিরাজুল হক জানান, পবিত্র কোরবানি উপলক্ষে হাটগুলো সবেমাত্র জমে উঠেছে। চাহিদার চেয়ে এ জেলায় এবার দ্বিগুণ কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement