১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

রাঙ্গাবালিতে নেই পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ হয়নি টেকসই বেড়িবাঁধ

রাঙ্গাবালিতে ভাঙন উন্মুখ একটি জনবসতি এলাকা : নয়া দিগন্ত -

প্রতি বছরই উপকূলে আঘাত হানছে কোনো না কোনো ঘূর্ণিঝড়। লণ্ডভণ্ড করে দিচ্ছে পটুয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা রাঙ্গাবালীকে। ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে হাজার হাজার পরিবার। তবুও টনক নড়ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। এখন পর্যন্ত নির্মাণ করা হচ্ছে না টেকসই বাঁধ এবং পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার। ঘূর্ণিঝড় এলে সবাই নড়েচড়ে বসলেও কিছু দিন পরই ভুলে যায় সব। সেই অরক্ষিতই পড়ে থাকে উপকূল। আর এ কারণেই প্রতিবারের ঘূর্ণিঝড়ে মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হয় অপূরণীয়। এবারের ঘূর্ণিঝড় রেমাল সেসব চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে গেছে।
ঘূর্ণিঝড় রেমাল কেটে গেছে। জলোচ্ছ্বাসের পানিও নেমে গেছে। তাতেই কি নিরাপদ হয়ে গেছে উপকূলবাসী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উপকূলের বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ দ্রুত সময়ের মধ্যে পুনঃনির্মাণ না করা হলে অদূর ভবিষ্যতে আরো কোনো ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে পরিস্থিতি তখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। অবস্থা হবে আরো ভয়াবহ।
সুপার সাইক্লোন সিডরের পর সবচেয় বেশি তাণ্ডব চালায় রেমাল। গত ২৬ মে রাতে আঘাত হানে অতিপ্রবল এ ঘূর্ণিঝড়টি। প্রচণ্ড ঢেউয়ের তোড়ে বিভিন্ন স্থানে ভেঙ যায় বেড়িবাঁধ। জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয় উপজেলার চর আন্ডা, মোল্লাগ্রাম, নয়াচর, বউবাজার, চালিতাবুনিয়া, মাঝেরচর, চরকানকুনি ও কাউখালীচরসহ আরো কয়েকটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। হু হু করে পানি ঢুকে লণ্ডভণ্ড করে দেয় মানুষের বাড়িঘর। বাস্তুহারা হয়ে পরে হাজারো মানুষ।
জেলা প্রশাসনসূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা রাঙ্গাবালী। শুধু এ উপজেলাতেই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১১৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৪ হাজার বাড়িঘর। এর মধ্যে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে দেড় হাজার ঘরবাড়ি। ভেসে গেছে দেড় হাজারেরও বেশি মাছের ঘের ও পুকুর। ক্ষতি হয়েছে ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। মারা গেছে ৫৭৭টি গবাদিপশু। সব মিলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৪৮ হাজার ৩০০।
উপকূলেরবাসীর দাবি, টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ না করায় প্রতিবছরই কোনো না কোনো ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনে লণ্ডভণ্ড করে দেয় তাদের। এক দুর্যোগের ধকল না কাটতেই আরেক দুর্যোগ এসে হানা দেয়। তাই তাদের দাবি এবার শুধু ত্রাণ নয়, টেকসই বাঁধ ও পর্যাপ্ত সাইক্লোন সেল্টার চান উপকূলবাসী।
গত ৩০ মে ঘূর্ণিঝড় দুর্গতদের দেখতে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় হেলিকপ্টারে করে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পরদিন রাঙ্গাবালীর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন দ্বীপগুলোতে স্পিডবোট নিয়ে পরিদর্শনে যান দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান। এ সময় ত্রাণ পেয়ে ক্ষতিগ্রস্তরা কিছুটা খুশি হলেও প্রতিমন্ত্রীর কাছে স্থায়ী বাঁধ ও সাইক্লোনশেল্টার নির্মাণের দাবি জানান তারা। ‘ত্রাণ চাই না, বেড়িবাঁধ চাই’ দাবি সম্বলিত পোস্টার বুকে ঝুলিয়ে তারা এ দাবি জানান।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান জানান, রেমালের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সব মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে কাজ চলছে। ইতোমধ্যে দুর্যোগপূর্ণ নি¤œাঞ্চলে সাইক্লোন সেল্টার নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া টেকসই বাঁধ নির্মাণ ও বাস্তুহারা মানুষের বাড়িঘর নির্মাণে পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কাজ চলছে। বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ অঞ্চলে এসে হেলিকপ্টারে চড়ে নিজ চোখে ক্ষয়ক্ষতির দৃশ্য অবলোকন করে যাওয়ার পর সব মন্ত্রণালয় সমন্বিতভাবে কাজ শুরু হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচারে ৫৩ নাগরিকের উদ্বেগ ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে দুর্নীতি কে প্রশয় দেয়া হবে না : জাতীয় নাগরিক কমিটি ফতুল্লা থেকে অপহৃত ২ শিশু বরিশাল থেকে উদ্ধার মহানবী সা:-কে নিয়ে কটূক্তি করা শিক্ষককে চাকরিচ্যুতের দাবি টাইম ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা ব্যক্তি ট্রাম্প আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য দিবসে রিকের র‌্যালি ও মানববন্ধন অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্সের সভাপতি হাসান শরীফ, সাধারণ সম্পাদক সোহেল চুয়েটে র‌্যাগিংয়ের দায়ে ১১ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার ঢাকায় উচ্চমাত্রার হর্ন ব্যবহার না করতে ডিএমপির নির্দেশনা তামিমের ঝড়ে জয় পেল চট্টগ্রাম তথ্য উপদেষ্টার বক্তব্য নিয়ে ধোঁয়াশা, কর্মকর্তা প্রত্যাহার

সকল