দৌলতদিয়ায় গরুর ট্রাক পারাপারে চাঁদাবাজির অভিযোগ
- গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) সংবাদদাতা
- ১২ জুন ২০২৪, ০০:০৫
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে নির্বিঘেœ নদী পার হচ্ছে শতশত কোরবানির পশুবাহী গরুর গাড়ি। তবে ওইসব গরুর গাড়ি থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার সকাল ৬টা থেকে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এ রুটে ৩৭৭টি গরু বোঝাই ট্রাক ঢাকার দিকে পার হয়েছে।
প্রতিদিন এ নৌরুটে মাগুরা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা গরু বোঝাই শতশত ট্রাক রাজধানীর গাবতলি, হাজারীবাগ, শেওড়াপাড়াসহ বিভিন্ন হাটে যাচ্ছে। গরু বোঝাই ট্রাকের উপরে বাঁশের মাচান তৈরি করে তার উপরে গরুর খাবার ও ৭-৮ জন করে রাখাল গরুর নিরাপত্তার দিয়ে যাচ্ছে। ওই রাখালদের ফেরি ভাড়া রাখার বিধান না থাকলেও ঘাট ইজারাদারের লোকজন তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ফেরি কাউন্টার থেকে গরুর গাড়িপ্রতি অতিরিক্ত ভাড়া আদায়েরও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার দুপুরে ও সোমবার বিকেলে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে অন্যান্য যানবাহনের তেমন চাপ নেই। তবে তুলনামূলকভাবে রয়েছে কোরবানির গরু বোঝাই একের পর এক ছোট বড় ট্রাক। প্রতিটি ট্রাকে ৮টি থেকে ২০টিরও অধিক গরু ছোট বড় ট্রাকে গাদাগাদি করে বেঁধে রাখা হয়েছে। প্রচণ্ড গরমে গরু ও তার সাথে থাকা রাখালেরা হাসফাস করছে। তবে ঘাটে আসার সাথে সাথে ফেরিতে উঠতে পারায় তারা উল্লাস প্রকাশ করেন।
এভাবে প্রতিদিন দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ৩ থেকে সাড়ে ৩শ’ গরুর ট্রাক পার হচ্ছে। মাগুরা ও ঝিনাইদহ থেকে আসা মামুন ও শিহাবসহ প্রতিটি গরুর ট্রাকে থাকা একাধিক রাখাল অভিযোগ করেন, ফেরি ভাড়া জনপ্রতি ৩৬ টাকা হলেও আমাদের কাছ থেক ৫০ টাকা করে নেয়া হয়েছে। আবার ট্রাক ভাড়ার সাথে ১শ’ টাকা বেশি নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট ফেরি কর্তৃপক্ষের কেউ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেনি। তবে ফেরি ঘাটের সামনে টিকিট হাতে করে বিক্রি করা লোকজনকে জনপ্রতি ৩৬ টাকার টিকিট ৪০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়। তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন ভাঙতি না থাকায় কখনও দু’চার টাকা কম বেশি নেয়া হয়।
এ বিষয়ে দৌলতদিয়া ঘাট বিআইডব্লিউটিসির ম্যানেজার সালাউদ্দিন জানান, গরুর ট্রকের উপরে যারা যাচ্ছে তাদের ভাড়া নেয়া যাবে না। তারা লুচ যাত্রী নয়। তাছাড়া কাউন্টার কিংবা অন্য কোথাও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বা কোনো অনিয়ম ধরা পড়লে আমি সাথে সাথে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেব।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র জানান, ঈদকে সামনে রেখে দৌলতদিয়ায় কোনোরকম অনিয়ম মেনে নেয়া হবে না। ঘাট সংশ্লিষ্টদের সাথে দ্রুত আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা