রৌমারী ও কর্ত্তিমারীর হাটে অতিরিক্ত টোল আদায়
- মোস্তাফিজুর রহমান তারা রৌমারী (কুড়িগ্রাম)
- ১১ জুন ২০২৪, ০০:০০
- ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের কাছ থেকে অতিরিক্ত খাজনা আদায়
- দেয়া হয় না খাজনার রসিদ
কুড়িগ্রামের রৌমারী ও কর্ত্তিমারীর হাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ করছেন ব্যবসায়ীরা। হাট কর্তৃপক্ষ সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে মনগড়াভাবে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করছে। সরকারিভাবে কোনো বাজার মনিটরিং না থাকায় ক্রেতা-বিক্রেতারা চরম বিপাকে পড়েছে।
রৌমারী উপজেলায় গরু ছাগলের প্রধান দু’টি হাট রৌমারী ও কর্ত্তিমারী। হাট দু’টিতে সরকার নির্ধারিত টোলের কোনো তালিকা ঝুলানো হয়নি। সরকার জনগণের সুবিধার্থে বিক্রেতার কাছ থেকে খাজনা আদায়ের নিয়ম থাকলেও হাট কর্তৃপক্ষ নিজেদের খেয়াল খুশিমতো গরু মহিষ ও ছাগল ভেড়া ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ের কাছ থেকে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি গরু মহিষ ও ছাগল ভেড়া ক্রেতার রসিদে খাজনা আদায়ের কোনো মূল্য লেখা হয় না। হাট ইজারাদার পেশি শক্তি ব্যবহার করে সরকারি নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে হাট ইজারাদার লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে হাট দু’টিতে তদন্ত পূর্বক ভ্রাম্যমাণ আদালতের পরিচালনার দাবি জানিয়েছেন ক্রেতা বিক্রেতা ও এলাকাবাসী।
ক্রেতা-বিক্রেতাদের অভিযোগ, তারা দূর-দূরান্তর থেকে জীবিকা নির্বাহের তাগিদে হাটবাজারগুলোতে ব্যবসা করতে এসে মনগড়া খাজনা আদায়ের শিকার হচ্ছেন। জেলা প্রশাসক অনুমোদিত টোল হার অনুযায়ী প্রতি গরু মহিষের শুধু ক্রেতার কাছ থেকে ৩৫০ টাকা খাজনা নেয়ার নিয়ম থাকলেও এখানে ক্রেতার কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে ৫০০ টাকা ও বিক্রেতার কাছ থেকেও নেয়া হচ্ছে ৫০০ টাকা। ছাগল ভেড়া প্রতি শুধু ক্রেতার কাছ থেকে ১০০ টাকা নেয়ার নিয়ম থাকলেও ক্রেতার কাছ থেকে ২০০ টাকা বিক্রেতার কাছ থেকে ২০০ টাকা নেয়া হচ্ছে। এতে অসৎ উপায়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায় করছে হাট কর্তৃপক্ষ।
জামালপুর থেকে হাটে আসা ব্যাপারী জয়নাল হক, ফজর উদ্দিন ও জেল হক নামের ক্রেতা বলেন, আমরা বিভিন্ন হাটে গরু মহিষ ছাগল ভেড়া ক্রয়-বিক্রয় করে আসছি। অন্য কোথাও দুই পক্ষের কাছ থেকে খাজনা আদায় দেখিনি। এখানে এসে দেখলাম উভয়ের কাছ থেকে খাজনা আদায় করা হচ্ছে, যা সরকারি মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি।
বকসিগঞ্জ থেকে আসা তৌফিকুর রহমান, জাহিদুল ইসলাম বলেন, কোরবানির জন্য একটি ষাঁড় গরু কিনেছি। এর খাজনা আমাকে ৫০০ টাকা দিতে হয়েছে এবং বিক্রেতার কাছ থেকেও ৫০০ টাকা নেয়া হয়েছে। তবে রসিদের মধ্যে কোনো খাজনা আদায়ের মূল্য লেখা হয় না।
রৌমারী হাট ইজারাদার সাফায়াত বিন জাকির সৌরভের সাথে অতিরিক্ত টোল আদায়ের বিষয়ে জানার চেষ্টা করলে তাকে মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান বলেন, হাট ইজারা দেয়ার চার দিন পর হাটে অতিরিক্ত খাজনা, হাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, হাটে দৃষ্টিনন্দন স্থানে খাজনা আদায়ের তালিকা টানানোসহ অনেক বিষয়ে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে একটি আলোচনা সভার মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। অন্য দিকে কয়েক দিন হলো খাজনা আদায়ের তালিকা টানানোর তালিকা হয়েছে। তবে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করে থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে ও খাজনা আদায়ের তালিকা বোর্ড না দিয়ে থাকলে বিষয়টি দেখা হবে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সাইদুল আরিফ বলেন, হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করা হয়ে থাকলে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা