১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

শুকনো সুপারির খোলে তৈরি হচ্ছে বাহারি তৈজসপত্র

-

পঞ্চগড়ে সুপারি গাছের খোল দিয়ে প্লেট বাটি চা-চামচসহ নানা ধরণের বাহারী তৈজসপত্র তৈরি করা হচ্ছে। এসব তৈজসপত্র স্বাস্থ্যসম্মত হওয়ায় বাজারে এর চাহিদাও ব্যাপক। গ্রামাঞ্চলে সুপারি গাছের খোল বেশ সহজলভ্য। এ খোল জ¦ালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বর্তমানে পঞ্চগড়ে সুপারি গাছের খোল দিয়েই তৈরি করা হচ্ছে প্লাস্টিকের বিকল্প নান্দনিক তৈজসপত্র।
জেলার বোদা উপজেলার পৌর শহরের শিমুলতলী এলাকায় রয়েছে ইকো বিডি গ্রিন নামে এ ধরনের একটি কারখানা। কারখানার মালিক ফরিদুল আলম হিরু বলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে দুই টাকা করে সুপারি গাছের পরিত্যক্ত খোল সংগ্রহ করেন তারা। এ খোল নিমপাতা ও লেবুর রসযুক্ত পানি দ্বারা জীবাণুুমুক্ত করে রোদে শুকিয়ে নেন। তারপর খোলটি ছাচের মেশিনে বসিয়ে তাপ ও চাপ প্রয়োগ করে কয়েক মিনিটের মধ্যেই গোলাকার বাটি, প্লেট, লাভ প্লেট, চামচ, চা-ট্রেসহ নানা ধরনের তৈজসপত্র তৈরি করা যায়।
বর্তমানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কিংবা রেস্টুুরেন্টগুলোতে প্লাস্টিকের পরিবর্তে সুপারি গাছের খোল দিয়ে তৈরি এসব তৈজসপত্র ব্যবহার শুরু হচ্ছে। তাই, চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারখানার মালিক আরো জানান, এ কারখানায় প্রতিদিন এক হাজার থেকে এক হাজার দুইশ পিস প্লেট, বাটি ও অন্যান্য জিনিসপত্র তৈরি হচ্ছে। প্রতি পিস প্লেট ও বাটি পাঁচ-দশ টাকায় বিক্রি করছেন তিনি। বর্তমানে তার কারখানায় ১৫ জন শ্রমিক কাজ করছেন।
ফরিদুল আলম হিরু বলেন, এ প্লেট ব্যবহারের পর ধুইয়ে শুকিয়ে নিয়ে বার বার ব্যবহার করা যায়। ব্যবহারের পর ফেলে দিলে সহজেই এটি জৈবসারে রূপান্তরিত হয়। তবে প্লাস্টিকের চেয়ে দাম একটু বেশি।
স্থানীয় কয়েকজন সুপারির বাগানের মালিক জানান, আগে সুপারি বাগানে খোলগুলো পড়ে থাকতো, নষ্ট হতো। এখন কারখানা হওয়ায় ঝরে পড়া খোলগুলো সংরক্ষণ করে বিক্রি করতে পারছি।
বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহরিয়ার নজির বলেন, এটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ। সুপারি খোলের তৈজসপত্রের চাহিদা বিদেশেও রয়েছে। উদ্যোগ নেয়া হলে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করাও সম্ভব।


আরো সংবাদ



premium cement