১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩০, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

লংগদুতে ছোট গরুর প্রতি ঝোঁক

দাম তুলনামুলক বেশি
-

রাঙামাটি জেলার লংগদু উপজেলার সর্ববৃহৎ পশুর হাট মাইনীমুখ বাজার। পাহাড়ি দেশী গরুর জন্য এই বাজারটি পরিচিতি পেয়েছে সারা দেশেই। বাজারটি বসে মাইনীমুখ বাজারের ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন গরুর বাজার মাঠে। সপ্তাহের প্রতি শনিবার সাপ্তাহিক পশুর হাট বসে বাজারটিতে। তবে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে স্থানীয় পাহাড়ি বাঙালি বিক্রেতারা এই হাটে শত শত গরু নিয়ে এসেছে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত হতে।
তবে সাধারণত লংগদু উপজেলার স্থানীয় ক্রেতাদের নিকট ছোট গরুই বেশি পছন্দ। বিক্রেতা এবং বেশ কিছু ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এবার কোরবানিতে পাহাড়ি গরুর কদর বেশি। তাই দামও একটু বেশি নেয়া হচ্ছে বলে বেশ কিছু ক্রেতা জানান।
কোরবানির হাটে গিয়ে দেখা মেলে গরু বেপারিরা মারিশ্যা, বরকলসহ লংগদু উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও জিপগাড়ি (চাঁদের গাড়ি) যোগে পশু নিয়ে আসছেন। তবে দামও হাঁকা হচ্ছে অনেক বেশি।
স্থানীয় গরু ব্যবসায়ী শাহ-আলম জানান, সারা বছর ধরে পাহাড়ে জঙ্গলে গরু ছেড়ে দিয়ে লালন-পালন করি। পশুরা পাহাড়ের প্রাকৃতিক ঘাস, লতাপাতা খেয়ে থাকে। এদের কোনো প্রকার স্বাস্থ্যের জন্য বাইরের ইনজেকশন প্রয়োগ করা হয় না। তাই পাহাড়ের গরুর দাম একটু বেশি।
মাইনীমুখ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন কমল জানান, এ ইউনিয়নে একটি মাত্র পশুর হাট। এখানে লংগদুসহ আশপাশের অনেক উপজেলা হতে ক্রেতা বিক্রেতারা আসেন।
লংগদু থানার ওসি হারুনর রশীদ বলেন, ক্রেতা-বিক্রেতা মুখর ছিল বাজারটি, এ ছাড়াও অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এড়াতে সার্বক্ষণিক আমাদের নজরদারিতে ছিল।
বৃহৎ এই গরুর হাটে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মেডিক্যাল সাপোর্ট তো দূরেই থাক কোনো কর্মকর্তাদেরও দেখা পাওয়া যায়নি। পরক্ষণে একাধিক বার কল দিলেও রিসিভ করেননি কর্মকর্তা সৌরভ সেন। পরবর্তীতে অন্য নাম্বারে যোগাযোগ করলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রতন কুমার নাথ বলেন, আমার চোখের অপারেশন ছিল আমি ছিলাম না তবে টিম ছিল।

 


আরো সংবাদ



premium cement