১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

মিরসরাইয়ে ‘বীর নিবাস’ নির্মাণে ধীরগতি

বীর মুক্তিযোদ্ধা এছাকের জন্য বরাদ্দকৃত বীর নিবাস : নয়া দিগন্ত -

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার ‘বীর নিবাস’ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। কাজের ধীরগতি, সময় মতো কাজ শেষ না করা, কোথাও কোথাও কাজ শুরু না হওয়া ছাড়াও মানহীন কাজে তাদের মধ্যে এ অসন্তোষ দেখা দেয়। সময়মতো ‘বীর নিবাস’ না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে দুই শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে এক ঘরে গাদাগাদি করে বসবাস করছেন তারা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মিরসরাইয়ে ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের ২২১টি ‘বীর নির্বাস’ নির্মাণে ২৫টি প্যাকেজে দরপত্র আহ্বান করা হয়। প্রতিটি ৩৩ ফুট বাই ২২ ফুট ঘর নির্মাণে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১৪ লাখ টাকা। উপজেলার ২৮ জন ঠিকাদারের প্রত্যেকে আট-নয়টি করে ঘর নির্মাণের কাজ পান। ২০২২ সালের জুলাই মাসে এসব প্যাকেজের কাজ শুরু হয়। এরপর বিভিন্ন মেয়াদে ঠিকাদারদের কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো মেয়াদ শেষ হলেও ঘরগুলো এখনো বুঝিয়ে দেয়া হয়নি।
সরেজমিনে বারইয়ারহাট পৌরসভার উত্তর সোনাপাহাড় গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মনছুর আহম্মদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তিনি পুরাতন মাটির ঘর ভেঙ্গে দিয়ে ছোট্ট একটি টিনের ঘর নির্মাণ করে বসবাস করছেন। তাকে প্রধানমন্ত্রী দেয়া ‘বীর নিবাস’ টির ছাদ ঢালাই দেয়া হলেও এখনো কাজ শেষ হয়নি।
এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মনছুর আহম্মদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা গণি আহম্মেদ বলেন, আমি ২০২২ সালের জুন মাসে ঝড় বৃষ্টির মধ্যে পুরাতন ঘর ভেঙ্গে ঠিকাদারকে বুঝিয়ে দিয়েছি। কিন্তু দুই বছর পেরিয়ে গেলেও ‘বীর নিবাস’ বুঝিয়ে দেয়া হয়নি। এক ঘরে পরিবারের সবাই থাকতে না পারায় এক ছেলের পরিবারকে ভাড়া বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছি।
জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের মধ্যম সোনাপাহাড় গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা এছাক কান্না জড়িত কণ্ঠে জানান, দুই বছর আগে জায়গা বুঝিয়ে দিলেও গত ৬ মাস থেকে থেমে থেমে কাজ করছে ঠিকাদার। একটা ছোট্ট রান্না ঘরে স্ত্রী, সন্তান, নাতি নাতনী নিয়ে ঝড় বৃষ্টিতে ভিজে কষ্টে দিনাতিপাত করছি।
জানতে চাইলে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কবির আহম্মদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ঘর দিয়েছে প্রায় দুই বছর অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু কয়েকটি ঘর বুঝিয়ে দেয়া হলেও এখনো দুই শতাধিক ঘর বুঝিয়ে না দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের আটটি ঘরের কাজ পাওয়া মের্সাস আর এন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, আমি চলতি মাসের ৩০ জুন পর্যন্ত সময় নিয়েছি। আশা করছি এই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করে ঘরগুলো বুঝিয়ে দিতে পারব।
এ বিষয়ে মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বীর নিবাস নির্মাণ প্রকল্পের সভাপতি মাহফুজা জেরিন বলেন, দু’টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে শোকজ করা হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো ঈদুল আজহা পর্যন্ত সময় নিয়েছে। যদি এই সময়ের মধ্যে বুঝিয়ে দিতে না পারে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচারে ৫৩ নাগরিকের উদ্বেগ ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে দুর্নীতি কে প্রশয় দেয়া হবে না : জাতীয় নাগরিক কমিটি ফতুল্লা থেকে অপহৃত ২ শিশু বরিশাল থেকে উদ্ধার মহানবী সা:-কে নিয়ে কটূক্তি করা শিক্ষককে চাকরিচ্যুতের দাবি টাইম ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা ব্যক্তি ট্রাম্প আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য দিবসে রিকের র‌্যালি ও মানববন্ধন অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্সের সভাপতি হাসান শরীফ, সাধারণ সম্পাদক সোহেল চুয়েটে র‌্যাগিংয়ের দায়ে ১১ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার ঢাকায় উচ্চমাত্রার হর্ন ব্যবহার না করতে ডিএমপির নির্দেশনা তামিমের ঝড়ে জয় পেল চট্টগ্রাম তথ্য উপদেষ্টার বক্তব্য নিয়ে ধোঁয়াশা, কর্মকর্তা প্রত্যাহার

সকল