সান্তাহার-পঞ্চগড় রুটে ৪ বছরেও চালু হয়নি বন্ধ দুটি ট্রেন
- সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) সংবাদদাতা
- ০৯ জুন ২০২৪, ০০:০৫
সান্তাহার-দিনাজপুর-পঞ্চগড় রুটে চলাচলকারী সেভেনআপ ও এইট ডাউন মেইল ট্রেন দুটি দীর্ঘ চার বছরেও চালু না হওয়ায় যাত্রী সাধারণের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জানা গেছে, মান্ধাতা আমল থেকে চলাচলকারী ট্রেন দুটি করোনাকালীন সময় বন্ধ রাখেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এ রুটে আন্তঃনগর ও মেইলট্রেনসহ অন্য ট্রেনগুলো চলাচল শুরু হলেও এই ট্রেন দুটি আর চালু করা হয়নি। কবে চালু করা হবে সেটি নিয়েও কোনো ভাবনা নেই রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের।
স্থানীয়রা জানান, রংপুর পার্বতীপুর দিনাজপুর ও পঞ্চগড় যাওয়ার জন্য যাত্রীদের এই ট্রেন দুটিই একমাত্র ভরসা ছিল। অথচ গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন দুটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অনেকে প্রয়োজনের তাগিদে নিরূপায় হয়ে বিভাগীয় শহর রংপুর ও শিক্ষাবোর্ড দিনাজপুরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত ভাড়ায় ও নানা হয়রানির শিকার হয়ে বাসে যাতায়াত করছেন।
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা রেল স্টেশনে রংপুর, পার্বতীপুর, দিনাজপুর ও পঞ্চগড়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষমাণ ব্যবসায়ী ও যাত্রী মিন্টু মিয়া, আ: ছাত্তার, আমিনুল ইসলাম, মোখলেছুর রহমান ও সাদা মিয়া বলেন, ট্রেন দুটি চালু না থাকায় অনেক ব্যবসায়ীর মালামাল বহনে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। তারা বলছেন, ট্রেনে মালামাল অনেক কম ভাড়ায় বহন করা যায়। বর্তমানে ট্রেন দুটি না থাকায় সড়কপথে অতিরিক্ত ভাড়ায় মালামাল নিয়ে আসতে হচ্ছে।
নলডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য হাবিজার রহমান বলেন, গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন দুটি বন্ধ থাকায় এ এলাকার মানুষজন বিভাগীয় শহর রংপুর ও শিক্ষাবোর্ড দিনাজপুরে যাতায়াতে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। তিনি অনতিবিলম্বে রেলওয়ের কর্তৃপক্ষের কাছে ট্রেন দুটি চলাচলের জন্য জোর দাবি জানান।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ে লালমানিরহাট ডিভিশনের ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্ট আব্দুল্লাহ আল মামুনের ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ট্রেন দুটির নাম এখনো টাইমটেবলে রয়েছে। কিন্তু লোকবল এবং ইঞ্জিন সঙ্কটের কারণে এ মুহূর্তে ট্রেন দুটি চালু করার সম্ভবনা নেই। তবে, এ দুটি ট্রেনের পরিবর্তে দোলনচাপা এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করা হয়েছে। কখনো সুযোগ-সুবিধা হলে ফের ট্রেন দুটি চালু করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা