১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

হোসেনপুরে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কামারদের ব্যস্ততা

নগর আড়াইবাড়িয়ায় একটি কামারপাড়া : নয়া দিগন্ত -

আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে দা, ছুরি, বঁটি, চাপাতি, নারিকেল কোরানিসহ লোহার হাতিয়ার তৈরিতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় কামাররা। তারা ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে রাত দিন এসব হাতিয়ার তৈরিতে নির্ঘুম সময় পার করছেন।
কোরবানির ঈদ উপলক্ষে দা, বঁটি, চাপাতি ও ছুরির চাহিদা বেড়ে যায়। ফলে, কামারদের কাজের ব্যস্ততাও বাড়ে। কাজের চাপ তাদের এতটাই বেড়ে যায় যে, দম ফেলানোর সময়টুকুও থাকে না তাদের।
প্রতিটি ধারালো দা বিক্রয় হচ্ছে ৪০০-৬০০ টাকায়, কোরবানির ছুরি ৫০০-৯০০ টাকায়, পশুর হাড় কাটার জন্য চাপাতি ৬০০-১০০০ টাকায়, চামড়া ছাড়ানোর চাকু ২৫০-৩০০ টাকায়, নারিকেল কোরানি ৩০০-৪০০ টাকায়, গোশত কাটার বঁটি ৪৫০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তা ছাড়া অন্যান্য কৃষি উপকরণ ধানকাটার কাঁচি, লাঙ্গলের ফলাসহ অন্যান্য তৈজসপত্রও বিক্রয় এ সময়টাতে।
জানা গেছে, হোসেনপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রায় দুই শতাধিক কর্মকার সরাসরি এ পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। তাদের নিখুঁত কাজের সুনামের জন্য পাশের ময়মনসিংহের গফরগাঁও, নান্দাইল এবং পাকুন্দিয়া এলাকার লোকজনও ছুটে আসেন হোসেনপুরে। কামারদের পেশাগত আচরণও মুগ্ধ করে সবাইকে। শত পরিশ্রমের মধ্যেও হাসি মুখে কথা বলেন তারা।
উপজেলার আড়াইবাড়ীয়া গ্রামের কয়েকজন কর্মকার জানান, এমনিতে সারা বছর কাজকাম থাকে না তাদের। তা ছাড়া লোহার দা-ও বেশি। তাই এত পরিশ্রম করে হাতিয়ার বানালেও দামে তেমন লাভবান হওয়া যায় না।
নগর আড়াইবাড়িয়ার কামার শফিউল্লা জানান, কোরবানির আগে কসাই, কৃষক ও সাধারণ মানুষ তাদের কাছে হাতিয়ার কিনতে বেশি ভিড় করেন। এই সময়টাতেই যা কিছু রোজগার হয়। বছরের বাকি সময় তেমন রোজগার নেই এ পেশায়। অন্য দিকে বাজারে এখন আমদানিকৃত হাতিয়ার চলে আসায় কামারদের হাতিয়ারের চাহিদা অনেক কমে গেছে। এখন আর পূর্বপুরুষদের এ পেশা ধরে রাখা দুষ্কর হয়ে পড়েছে তাদের কাছে।


আরো সংবাদ



premium cement