১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

গোয়ালন্দে চাহিদার তুলনায় দুই হাজার অতিরিক্ত কোরবানির পশু প্রস্তুত

দাম নিয়ে শঙ্কিত খামারিরা
-

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে এ বছর খামারে ও পারিবারিকভাবে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার গবাদি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। যা আসন্ন কোরবানির ঈদে এ উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে প্রায় দুই হাজার অতিরিক্ত পশু ঢাকাসহ অন্য জেলায় সরবরাহ করা যাবে।
গোয়ালন্দ উপজেলার চারটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্রত্যন্ত এলাকা ও চরাঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, প্রায় বাড়িতেই একটি দু’টি বা কোথায়ও খামার আকারে কোরবানির পশু মোটাতাজা করা হয়েছে। তবে এসব পশুর লালন-পালন অনুযায়ী পশুর উপযুক্ত দাম পাওয়া নিয়ে চিন্তিত খামারিরা।
দৌলতদিয়া ইউনিয়নের চর করনেশন তারা মাতবর পাড়ার আবদুল লতিফ শেখের ছেলে রিয়াজুল শেখ জানান, বাবার আমল থেকে প্রায় ৫০ বছর ধরে কৃষি কাজের পাশাপাশি প্রতি বছর তিনি কোরবানির গরু লালন-পালন করে বিক্রি করেন। তার খামারে সবসময় ছোট, মাঝারি ও বড় সাইজের গরু থাকে। প্রতি কোরবানিতে বড়গুলো বিক্রি করে সমপরিমাণ ছোট গরু কেনেন। এবারের কোরবানিতে তিনি ছয়টি ষাঁড় গরু বিক্রি করবেন। তিনি দুই বছর আগে ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকায় এই ছয়টি ষাঁড় বাছুর কিনেছিলেন। পাঁচ মাস যাবত তিনি ছয়টি গরুর পিছনে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা খরচ করেছেন। সব মিলে তার ছয়টি গরু মোটাতাজা করতে মোট ৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। তার টার্গেট এবার কোরবানিতে গরুগুলো ১২-১৩ লাখ টাকা বিক্রি হবে।
একইভাবে চর দৌলতদিয়া তমিজউদদীন মৃধার পাড়ার আলামীন শেখ জানান, তার খামারে দুই আকারের ছয়টি গরু রয়েছে। এবার ঈদে তিনি তিনটি গরু বিক্রি করবেন। তিনটি গরু তিনি দুই লাখ ৭০ হাজার টাকায় কিনেছিলেন। প্রতি মাসে গরুগুলোর পিছনে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা তার খরচ হয়। তার টার্গেট এবারে ভারতীয় গরু না এলে তার ওই তিনটি গরু ৯ থেকে ১০ লাখ টাকায় বিক্রি হবে।

তমিজউদদীন মৃধা পাড়ার শাজাহান বেপারী জানান, তিনি চার মাস আগে সাত লাখ ৫০ হাজার তিনটি গরু কিনে লালন-পালন করছেন। প্রতি মাসে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা গরুগুলোর খরচ করেছেন। গরু ব্যাপারীরা বাড়িতে এসে তিনটি গরু ১০ লাখ টাকা দাম করছে। ১১ লাখ টাকা হলে তিনি বাড়ি থেকে বিক্রি করবেন।
এভাবে কথা হয় চর দৌলতদিয়া ইছাক মুন্সিপাড়ার খামারি আলাল বিশ্বাস, তমিজউদদীন পাড়ার মৃধা পাড়ার আ. খালেক খাঁসহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় অর্ধ শতাধিক ছোট বড় খামারির সাথে।
প্রাকৃতিক উপায়ে লালন-পালন করা ওই গরুগুলোর প্রত্যেকটির ওজন প্রায় ১৪ থেকে ২০ মণ হবে।
অধিকাংশ খামারি নিজের জমিতে উৎপাদিত কাঁচা ঘাস, ভুট্টা, গম, ধানের খড়, ধানের কুঁড়া, গমের ভূষি, সরিষা ও তিলের খৈলসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ানোর মাধ্যমে গরুগুলো মোটাতাজাকরণ করে চলেছে। এতে গরুর রোগবালাই যেমন কম হয়েছে, তেমনি খরচও অনেকটা সাশ্রয়ী হয়েছে।
নদী ভাঙনের শিকার অধিকাংশ কৃষকই প্রতি বছর কৃষি কাজের পাশাপাশি কোরবানির গরু মোটাতাজা করে বিক্রি করে স্বাবলম্বী হওয়াই তাদের একমাত্র আশা। ভারতীয় গরু এনে সে আশার গুড়ে বালি না হয়। সরকারের প্রতি তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রত্যেক খামারিই দেশের বাইরে থেকে গরু আমদানি না করার অনুরোধ জানান। এতে তারা ভালো লাভবান হবেন।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: রাশেদুজ্জামান বলেন, জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্যমতে এবারের কোরবানি ঈদে অত্র উপজেলায় ৩ হাজার ৬৫০টি পশুর চাহিদা রয়েছে। ইতোমধ্যে ৪,৫২৭টি পশু তালিকাভুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। আরো পশু তালিকার বাইরে রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
‘দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই’ পাটখাতে সংকট সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে : পাট উপদেষ্টা তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবি : ৩ দিন সাগরে ভেসে ছিল শিশুটি বিএসএমএমইউ’র ভিসিকে অবরুদ্ধ করে স্নাতকোত্তর কোর্সে ঢোকার চেষ্টা ১৩ চিকিৎসকের অস্ট্রেলিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশী শিক্ষক নিহত ডিজিটাল যুগে ইসলামিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও চ্যালেঞ্জ থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ও ফানুস নিষিদ্ধ রিজার্ভ বেড়ে এক হাজার ৯০০ কোটির ঘরে এবার শীত কম হবে, নাকি বেশি জনগণের হয়রানি রোধে জমির ডিজিটাল জরিপ করা হচ্ছে : মহাপরিচালক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় অটোরিকশাচালক নিহত

সকল