১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

লক্ষ্মীপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

পছন্দের ঠিকাদার ছাড়া অন্য কারো সাথে ঠিকমতো কথাও বলেন না
-

লক্ষ্মীপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আকতার হোসেনের বিরুদ্ধে চরম দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তিনি লক্ষ্মীপুরে যোগদান করার পর থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অধিকাংশ ওটিএম দরপত্র তার পছন্দের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে আসছেন। এ কারণে লক্ষ্মীপুরের অনেক নামকরা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও কাজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এ ছাড়া, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আকতার হোসেন সপ্তাহে মাত্র দুই-তিন দিন অফিস করেন। দুপুর ১২টায় অফিসে এসে আড়াইটার দিকে চলে যান। এ সময়ে তার পছন্দের ঠিকাদার ছাড়া অন্য ঠিকাদারদের সাথে তিনি ঠিকমতো কথাও বলেন না। নিয়ম বহির্ভূতভাবে ঠিকাদারদের চাপ দিয়ে তার সরকারি বাংলোয় কাজ করিয়ে বাসভবনকে হায়াইট হাউজ করিয়ে নিয়েছেন।
জানা যায়, চলতি বছর লক্ষ্মীপুর গণপূর্ত বিভাগের কোয়াটার ভবনের বাউন্ডারি ওয়াল সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়ম করে নির্বাহী প্রকৌশলী আকতার হোসেনের পছন্দের চাঁদপুরের ঠিকাদার বেলাল হোসেন। এই নিয়ে সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে অসদাচরণ করেন। পরে সাংবাদিকরা সংবাদ প্রচার করলে চাঁদপুর দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত অঞ্চলের সহকারী পরিচালক আজগর হোসেনের নেতৃত্বে দুর্নীতি দমন কমিশন অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের খবর পেয়ে আকতার হোসেন ওই দিন দফতরে উপস্থিতই হননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন ঠিকাদার বলেন, প্রতি বছর প্রায় ৩-৪ কোটি টাকার এপিপি (মেরামতের) কাজ আসে। এসব কাজ নির্বাহী প্রকৌশলী তার নিজস্ব কিছু ঠিকাদারের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে বণ্টন করে দেন। অনেক তালিকাভুক্ত ঠিকাদারও এসব কাজ থেকে বঞ্চিত হন। দফতরের বিভিন্ন মেরামত ও নির্মাণকাজ ওটিএম করে তার পছন্দের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দিয়ে দেন। তিনি কাজের প্রাক্কলিক মূল্যের আগেই পছন্দের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে জানিয়ে দেন।
এ ছাড়া নির্বাহী প্রকৌশলী বিভিন্ন দরপত্র গণপূর্ত অধিদফতরের ওয়েবসাইট এবং জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশ না করে নিয়মের বাইরে গিয়ে রিকোয়েস্ট ফর কোটেশন (আরএফকিউ) করে লাখ-লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী আকতার হোসেন বলেন, অভিযোগ হতে পারে। চলতে গেলে সবাইকে তো খুশি করতে পারি না। এখানে তো অনেক ঠিকাদার আছেন। কার মনে কি আছে, সেটা তো বলতে পারব না। যারা কাজ পায় না তারাই অভিযোগ করে।


আরো সংবাদ



premium cement