শখের বসে শুরু, এখন বাণিজ্যিকভাবে আম চাষ
- এম মাঈন উদ্দিন মিরসরাই (চট্টগ্রাম)
- ০৭ জুন ২০২৪, ০০:০৫
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে প্রথমে শখের বসে আম চাষ শুরু করেছেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মঈন উদ্দিন। এখন সেই বাগানে বাণিজ্যিকভাবে আম চাষ হচ্ছে। চলতি মৌসুমে আম বিকিকিনি শুরু হয়েছে। বেশির ভাগ ভোক্তা অনলাইনে অর্ডার করে আম নিচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় তিন দশকেরও বেশি সময় পরিবার নিয়ে অস্ট্রেলিয়া বসবাস করে আসছেন মঈন উদ্দিন। প্রবাসে বসবাস করলেও নিজ গ্রামের পাহাড়ে প্রায় ৩১ একর জায়গাজুড়ে গড়ে তুলেছেন একটি সমন্বিত খামার। এখন সেই খামারকে পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তুলেছেন তিনি।
হিলসডেল মাল্টিফার্মের অভ্যন্তরে প্রায় ২২ একর জমিতে ২০১৬ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে হাঁড়িভাঙা ও আম্রপালি আম গাছের চারা আছে প্রায় ৭০০। পাশাপাশি গোরমতি, ব্যানানা, মিয়াজাকি, হিমসাগর, মল্লিকা, ল্যাংড়াসহ প্রায় আরো ১৪০০’র মতো আমের চারা লাগানো হয়েছে। যেগুলোতে আগামী ১-২ বছরের মধ্যে আম আসা শুরু করবে।
অলিনগরের হিলসডেল মাল্টিফার্ম সূত্রে জানা গেছে, হাঁড়িভাঙা আম চলতি জুন মাসের শুরু থেকে এবং জুনের ১৫ তারিখের পর আম্রপালি হার্ভেস্টিং শুরু হবে। গুটি জাতের আম হার্ভেস্টিং বাজারজাত শুরু হয়েছে ইতোমধ্যে প্রায় ৩০ মণ আম বিক্রি হয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। প্রায় ৪০০ গাছে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ৫০০ মণ। উৎপাদিত এসব আম যাচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ফেনীসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, হিলসডেলে আম বাগানের পাশাপাশি রয়েছে পর্যটন ব্যবস্থা। এ মাল্টিফার্মের আরো এক নাম মধুরিমা রিসোর্ট। গাছগুলোতে থোকায় থোকায় ঝুলে থাকা পাকা আমের গন্ধে ম ম করছে সমগ্র বাগান। আমের ভারে নুয়ে পড়ছে গাছের ডাল। সেখানে রয়েছে ডেইরি ফার্ম, হরিণের খামার, ঘোড়া, ময়ূর, ইমু পাখি, দেশী-বিদেশী হাঁস মুগরিসহ নানা জাতের ফলদ বনজ ঔষধি বৃক্ষ।
হিলসডেলের ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমাদের এই ফার্মে জৈব উপায়ে আম উৎপাদন করা হয়। ইতোমধ্যে গুটি জাতের আম বাজারজাত করছি। আম্রপালি কিছু দিনের মধ্যেই পাকতে শুরু করবে। বিগত বছরের তুলনায় শতকরা ২০ ভাগ ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে।
কথা হয় বাগানে আম নিতে আসা নাজিম উদ্দিন নামে এক ক্রেতার সাথে। তিনি বলেন, আমি বিগত কয়েক বছর ধরে মঈন ভাইয়ের বাগান থেকে আম কিনে থাকি। সম্পন্ন ফরমালিন ও কেমিক্যালমুক্ত। অর্ডার করলে বাড়ি পৌঁছে দেয়। এবার নিজে বাগানে এসেছি আমা নিয়ে যেতে।
বাগানের মালিক প্রবাসী মঈন উদ্দিন জানান, আমি প্রবাসে থাকলেও আমার মন পড়ে থাকে এই খামারে। ছুটি পেলেই আমি খামারে চলে আসি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, এ বছর অন্যান্য কৃষকের তুলনায় করেরহাটের হিলসডেল মাল্টিফার্মে আমের ভালো ফলন হয়েছে। আমরা আশা করছি উনি লাভবান হবেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা