বরিশাল বিভাগে ১ লাখ ৮০ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব- বরিশাল ব্যুরো
- ৩১ মে ২০২৪, ০০:০৫
ঘূর্ণিঝড় রেমালে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় এক লাখ ৮০ হাজার ৪৮১ কৃষক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বরিশাল অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয় থেকে বুধবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয় থেকে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কাছে পাঠানো ওই তথ্যে জানানো হয়, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পরিবারের মধ্যে প্রান্তিক, ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষক রয়েছেন এক লাখ ৭০ হাজারের মতো।
এর মধ্যে শুধু বরিশাল জেলায় ছয় হাজার ৪৪১ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শতভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দুই হাজার ৮৫ হেক্টর জমির ফসল। প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির হিসাব অনুযায়ী আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ১১০ কোটি টাকা। বুধবার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের খামারবাড়ির, বরিশাল জেলার উপপরিচালক মুরাদুল হাসান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়তে পারে। এতে বরিশালের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।
খামারবাড়ি সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল জেলায় মোট ১৩ হাজার ৪৬৯ হেক্টর জমিতে আউশ, পান, সাক-সবজি, পেঁপে এবং কলা আবাদ হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে ছয় হাজার ৩৬৬ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে চার হাজার ২৭১ হেক্টর জমিতে আংশিক এবং দুই হাজার ৬৫ হেক্টর জমির ফসল শতভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হিসাব অনুযায়ী, দুই হাজার ৩৪৯ হেক্টর জমিতে আউশ আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ৮৭৯ হেক্টর জমির ফসল আংশিক এবং ৯৩৯ হেক্টর জমির ফসল শতভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্য দিকে দুই হাজার ৯৮৭ হেক্টর জমিতে পান আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ৭৯২ হেক্টর জমির পান আংশিক এবং ৮৯৬ হেক্টর জমির পান শতভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শাক-সবজি আবাদ হয়েছে সাত হাজার ৪৩০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে ৫০০ হেক্টর জমির শাক-সবজি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ ছাড়া ২০০ হেক্টর জমির ফসল সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ৩৯১ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে বিভিন্ন ধরনের কলা গাছ। এর মধ্যে ১০০ হেক্টর জমির কলাগাছ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩০ হেক্টর জমির কলাগাছ। ৩১২ হেক্টর জমিতে পেঁপে আবাদ হয়েছে। যেখানে ঘূর্ণিঝড়ে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫৫ হেক্টর জমির পেঁপে গাছ। এ ছাড়া শতভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২০ হেক্টর জমির গাছ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা