জোয়ার-ভাটার সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে আছে তিন শতাধিক পরিবার
ত্রাণ নয় টেকসই বাঁধ চান ক্ষতিগ্রস্তরা- আমতলী (বরগুনা) সংবাদদাতা
- ২৯ মে ২০২৪, ০১:২৫
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে পায়রা নদীসংলগ্ন আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের পশুরবুনিয়া এলাকার এক কিলোমিটার বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে তিন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ওই তিন গ্রামের তিন শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি, পুকুর, মাছের ঘের ও ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। ঘর ভেঙে গেছে। তারা এখন জোয়ার-ভাটার সাথে যুদ্ধ করে দিনাতিপাত করছে। তাদের দাবী ত্রাণ নয়, টেকসই বাঁধ চাই।
জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে পায়রা নদীসংলগ্ন আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের পশুরবুনিয়া এলাকার এক কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে যায়। এতে পানি প্রবেশ করে ঘোপখালী, উত্তর ঘোপখালী ও পশুরবুনিয়া গ্রাম তলিয়ে গেছে। ওই তিন গ্রামের মানুষ পানিতে ভাসছে। তাদের ঘরবাড়ি ও পুকুর পানিয়ে তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তিন শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি পানির নিচে রয়েছে। তারা জোয়ার-ভাটার সাথে যুদ্ধ করে জীবনযাপন করছে। তাদের দাবি ত্রাণ নয় টেকসই বাঁধ চাই। অভিযোগ রয়েছে ভাঙনকবলিত পশুবুনিয়া এলাকায় গত সিডরের পর থেকে টেকসই বাঁধ নির্মাণ করেনি। দায়সারা বাঁধ নির্মাণ করে দেয়। ওই বাঁধ একটু বন্যা হলেই ভেঙে যায়। প্রতি বছরই ওই এলাকাবাসীর বন্যার সাথে যুদ্ধ করে চলতে হয়। তাই তাদের দাবি নড়বড়ে বাঁধ ও ত্রাণ নয় টেকসই বাঁধ চাই। পশুরবুনিয়া গ্রামের আব্দুর রশিদ তালুকদার, মন্নান ফকির ও শাহিনুর বেগম বলেন, নতুন বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে পানিতে সব তলিয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড় সিডরের পর থেকেই পানি উন্নয়ন বোর্ড দায়সারা বাঁধ নির্মাণ করে। ওই বাঁধ বেশি দিন টিকে না।
জাফর তালুকদার ও আহসান চৌকিদার বলেন, বন্যা হলেই প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা ত্রাণ নিয়ে আসেন। দুই দিন পরে আর তাদের দেখা মেলে না। টেকসই বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ না থাকায় আমরা সারা বছর জোয়ার-ভাটার সাথে যুদ্ধ করে থাকতে হয়। যদি সরকার টেকসই বাঁধ নির্মাণ করতো তাহলে আজ এ অবস্থা হতো না। প্রতিবছর পানি উন্নয়ন বোর্ড দায়সারা বাঁধ দেয়। ওই বাঁধ একটু জোয়ার হলেই ভেঙ্গে যায় আর এলাকার তিন গ্রামের মানুষ ভীষণ কষ্ট করি। আমরা ত্রাণ চাই না। আমরা টেকসই বাঁধ চাই। পরিবার পরিজন নিয়ে ভালো ভাবে বেঁচে থাকতে চাই।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকেীশলী রাকিব মিয়া বলেন, পশুরবুনিয়া ভাঙনকবলিত এলাকায় ইতোমধ্যে প্রকল্প নেয়া হয়েছে। নদীভাঙন থেকে ওই এলাকা রক্ষায় জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। শুকনো মৌসুমে টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা