১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
একটি মাত্র সেতুর অভাব

৩০ থেকে ৩৫ হাজার মানুষের দুর্ভোগ

-

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় প্রায় পাঁচ বছর আগে ভয়াবহ বন্যায় বাঙ্গাল পাড়া খালের সেতুটি ভেঙে যায়। কিন্তু দীর্ঘ পাঁচ বছর পার হলেও ওই খালের ওপর কোনো সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে খাল পারাপারে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ৩০ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ। এ ছাড়া শত শত যানবাহন ও হাজার হাজার পথচারীকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পথ ঘুরে বকশীগঞ্জ উপজেলা সদরে পৌঁছতে হয়। এতে তাদের অর্থ ও সময়ের অপচয় হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
জানা যায়, উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়নের বাঙ্গালপাড়া খালের ওপর নির্মিত একটি সেতু ২০১৯ সালে আগস্ট মাসে বন্যার পানির তোরে ভেঙে অদৃশ্য হয়ে যায়। এতে উপজেলা সদরের সাথে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে সেতুর পশ্চিম পাশের পাঁচটি গ্রামের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা।
সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুর দক্ষিণ পাশ দিয়ে লোকজন হেঁটে যাতায়াত করছেন। তবে এই পথে এখন আর কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না। স্থানীয় কলেজ পড়ুয়া আলী আকবর, সাম্মি আক্তারসহ অনেকেই বলেন, ‘শুকনো মৌসুমে হেঁটে এবং বর্ষায় নৌকায় চলাচল করেন এলাকার মানুষ।’
সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) জিয়াউর রহমান বলেন, ‘বাঙ্গালপাড়া খালের ওপর নতুন একটি সেতু নির্মাণের জন্য প্রশাসনকে বার বার জানিয়েও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। মানবিক কারণে হলেও দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি সেতু নির্মাণ প্রয়োজন।
উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, সেতু নির্মাণ করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানিয়েছি। এখন তো আমি চলে যাবো। নতুন যারা এসেছেন তাদের প্রতি অনুরোধ থাকলো।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী শামছুল হক বলেন, সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়েছে। এলজিইডির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ স্থানটি পরিদর্শন করেছেন। আশা রাখি, শিগগিরই সেতু নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হবে।
জামালপুর-১ (বকশীগঞ্জ-দেওয়ানগঞ্জ) আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘লোকজনের ভোগান্তি লাগবে নতুন সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement