১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

দাগনভুঞায় বৃষ্টির অভাবে কচু চাষে লোকসানের আশঙ্কা

পানিশূন্য ক্ষেতে বেড়ে উঠতে পারছে না কচু : নয়া দিগন্ত -

ফেনীর দাগনভুঞা উপজেলায় পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কচু চাষিরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় লোকসানের আশঙ্কা করেছেন কচু চাষিরা।
কৃষকরা জানান, কচু চাষের প্রধান উপাদান হলো পানি। পানি পেলে কচু সহজেই বড় হয়। কিন্তু এ বছর পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় কচু ও লতির ফলন ভালো হয়নি। এ ছাড়া অতিরিক্ত গরমে অনেক কচুক্ষেত শুকিয়ে মরে গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসসূত্রে জানা গেছে, দাগনভুঞার বিভিন্ন ইউনিয়নে ২৫ হেক্টর জমিতে কচুর আবাদ হয়েছে। গত বছর ফলন ভালো হওয়ায় অনেক কৃষক এ বছর নতুন করে কচু ও লতি চাষে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। এ বছর জায়লস্কর, পূর্ব চন্দ্রপুর ও মাতুভুঞা ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি কচু চাষ হয়েছে। সাধারণত রাস্তার দুই পাশের নিচু জমিতে কচু চাষ করেন কৃষকরা। এ ছাড়া বিভিন্ন জাতের লতি কচুর চাষাবাদও করেছেন তারা।
উপজেলার মাতুভুঞা ইউনিয়নের উত্তর আলীপুর গ্রামে সরেজমিন দেখা যায়, কৃষক বাহার মিয়া ছয় শতাংশ জমিতে, হোনা মিয়া ১৫ শতাংশ ও জহিরুল আলম নয়ন ১৬ শতাংশ জমিতে কচু ও লতির আবাদ করেছেন। কিন্তু জমিতে পানি না থাকায় কচু নিচের দিকে বৃদ্ধি পায়নি। কচুর লতিও আশানুরূপ ফলন হয়নি। অনেক কচুক্ষেত শুকিয়ে গাছগুলো লালচে হয়ে গেছে। পানি না থাকায় কাঠ কচুর পাশাপাশি লতি কচুর ফলনও ভালো হয়নি। অথচ বিগত বছরগুলোতে এ সময় উপজেলার প্রায় প্রতিটি বাজারে প্রচুর কচুর আমদানি ছিল।
এ প্রসঙ্গে কৃষক বাহার মিয়া জানান, পানির অভাবে কচুক্ষেতে পোকার আক্রমণ হয়। তিনি বেশ কিছুটা দূর থেকে পানি আনার ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু সে পানি শুকনো জমি চুষে নিয়েছে। এভাবে দূরদূরান্ত থেকে ডিজেল কিনে পানি সেচের ব্যবস্থা করে ফলন বাড়ানো অসম্ভব।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মহিউদ্দিন মজুমদার জানান, কচু চাষে পর্যাপ্ত পানি লাগে। সাধারণত নিচু ও কর্দমাক্ত জমিতে কচুর চাষ করতে হয়। বৃষ্টিপাতের ওপর কারো হাত নেই। তবে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কচু চাষিদের সার ও ওষুধ সরবরাহ এবং বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হয়।


আরো সংবাদ



premium cement