কমলনগরে সয়াবিনের বাম্পার ফলন কৃষকদের মুখে সোনালি হাসি
- মিজানুর রহমান মানিক কমলনগর (লক্ষ্মীপুর)
- ২৩ মে ২০২৪, ০০:০০
চলতি রবিশস্য মৌসুমের আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে সয়াবিন আবাদের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকদের মুখে দেখা দিয়েছে সোনালি হাসি। সয়াল্যান্ড হিসেবে খ্যাত লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের কৃষকরা এখন জমি থেকে সয়াবিন কেটে ঘরে তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে রবি মৌসুমে সয়াবিন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। হেক্টরপ্রতি গড়ে ফলন হয়েছে ২.৫ মেট্রিক টন। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৩১ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন। প্রতি মণ (৪০ কেজি) সয়াবিনের স্থানীয় বাজার মূল্য প্রায় ৩ হাজার টাকা। সেই হিসাবে এ উপজেলায় উৎপাদিত সয়াবিনের মোট বিক্রয় মূল্য হবে আনুমাণিক ২ কোটি টাকা।
চরঠিকা গ্রামের কৃষক আবদুল মালেক বেপারি জানান, এ বছর তিনি দুই একর ৫০ শতক জমিতে সয়াবিনের আবাদ করেছেন। এবার রোগবালাই কম হওয়ায় এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গতবারের লোকসান তিনি কাটিয়ে ওঠতে পারবেন বলে আশা করছেন।
হাজিরহাট এলাকার কৃষক মোশারেফ হোসেন জানান, আবহাওয়া অনুকূল থাকায় তার জমিতে সয়াবিনের ভালো ফলন হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে ভালো দামও পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র আরো জানায়, চলতি বছরে আবাদকৃত সয়াবিনের জাত ছিল ‘বারি সয়াবিন-৫, বারি সয়াবিন-৬, বিনা সয়াবিন-৩, বিনা সয়াবিন-৫, বিইউ সয়াবিন-২, বিইউ সয়াবিন-৪ ও সোহাগ সয়াবিন। সয়াবিন বপনের উপযুক্ত সময় মধ্য ডিসেম্বর থেকে মধ্য জানুয়ারি পর্যন্ত। এর জীবনকাল প্রায় ৯০-১০০ দিন। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে মধ্য এপ্রিল থেকে মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে সয়াবিন সংগ্রহ করা সম্ভব।
চলতি বছরে সয়াবিন মাড়াই মেশিন ‘পাওয়ার থ্রেসার’ না পাওয়ায় সয়াবিন মাড়াই খরচ কিছুটা বেশি হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহীন রানা জানান, সরকারিভাবে সরবরাহকৃত প্রায় শতভাগ অঙ্কুরোদগম ক্ষমতাসম্পন্ন বীজ ব্যবহার করেছেন কৃষকরা। এতে ফলন বেশি হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা