১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সেতুর অভাবে ২ লাখ মানুষের যাতায়াতে ভোগান্তি

-


মুন্সীগঞ্জ জেলা শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণে পদ্মাপাড়ের মহেশপুর ঘাট। এ ঘাট দিয়ে মুন্সীগঞ্জ ছাড়াও কুমিল্লা, চাঁদপুর ও শরীয়তপুর জেলার মানুষ যাতায়াত করে। সেতুর অভাবে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ নিয়ে পার হতে হয় চার জেলার মানুষকে।
মহেশপুর ঘাটে মানুষ পারাপারের জন্য রয়েছে বেশ কয়েকটি ট্রলার (ইঞ্জিনচালিত নৌকা)। এসব ট্রলারে মানুষ দুর্গম পদ্মা-মেঘনার চর থেকে প্রতিদিন মুন্সীগঞ্জের মূল ভূখণ্ড হয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন।
মুন্সীগঞ্জের মহেশপুর গুদারা ঘাটের পূর্ব-দক্ষিণ দিকে রয়েছে চাঁদপুর ও কুমিল্লা জেলা। দক্ষিণ-পশ্চিমে শরীয়তপুর জেলা। গুদারা ঘাটের একটু পূর্ব পাশেই পদ্মা-মেঘনার সংযোগস্থল কালিরচর গ্রাম। তাই এই দুই নদীর মোহনাসহ পাশের চরাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম এই মহেশপুর খেয়াঘাট।
গত দুই যুগ ধরে মুন্সীগঞ্জ সদর, টঙ্গিবাড়ী ও লৌহজং উপজেলার পদ্মা নদীর বিস্তীর্ণ অংশজুড়ে ভাঙন চলছে। ভাঙনের সাথে পদ্মার বুকে জেগে উঠেছে চরও। এসব চরে অনেকেই বসতি গড়ে তুলছে। এ ছাড়া শরীয়তপুর, কুমিল্লা ও চাঁদপুর জেলার পদ্মা-মেঘনার চরে বসবাস করছে দুই লক্ষাধিক মানুষ। এর মধ্যে এক দিকে যেমন মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দীঘিরপাড়, কামারখাড়া, হাসাইল, পাঁচগাঁও ইউনিয়ন, মুন্সীগঞ্জ সদরের বাংলাবাজার, শিলই ইউনিয়ন ও লৌহজং উপজেলার অনেক জায়গা নদীতে বিলীন হওয়া অঞ্চলের মানুষ এখন পদ্মার চরে বসবাস করছে। তাদের যাতায়াতেও ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

মহেশপুর ঘাট ছাড়াও শরীয়তপুরের পাঁচ ইউনিয়ন ও মুন্সীগঞ্জের চরাঞ্চলের বাসিন্দারা পারাপার হচ্ছে মুন্সীগঞ্জের দীঘিরপাড়, হাসাইল গুদারাঘাট দিয়ে। শরীয়তপুরের অনেকেই দৈনন্দিন কাজে মুন্সীগঞ্জ হয়ে যাতায়াত করছে। এসব এলাকার লোকজন দিনে নৌকায় যাতায়াত করলেও সন্ধ্যার পর বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে যোগাযোগব্যবস্থা। এতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দুর্ভোগ পোহাতে হয় রোগীদেরও।
স্থানীয়রা বলেন, ব্রিজ ও রাস্তার সমস্যার কারণে ছেলেমেয়েরা ভালো স্কুল-কলেজে পড়তে পারছে না। হঠাৎ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নিয়ে হাসপাতালে যেতেও পোহাতে হয় অনেক বিড়ম্বনা। এসব দুর্ভোগ অবসানে পদ্মাচরের সাথে মুন্সীগঞ্জের মূল ভূখণ্ডে সেতু নির্মাণের দাবি জানান তারা।
এ ব্যাপারে বাংলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন পীর বলেন, মহেশপুর গুদারা ঘাটের পাশের নদীটি পদ্মার একটি শাখা খাল। আমরা এ স্থানে অনেক আগেই সেতু নির্মাণের প্রস্তাবনা দিয়ে রেখেছি। এ স্থানে একটি সেতু নির্মাণ করা হলে মানুষের দুর্ভোগ অনেকটা লাঘব হতো।

 


আরো সংবাদ



premium cement




up