জীবন বদলেছে ইসমাইল হুসাইনের
- মুহাম্মদুল্লাহ সখীপুর (টাঙ্গাইল)
- ২২ মে ২০২৪, ০০:০৫
ইসমাইল হুসাইনের বাসার আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে আঁকাআঁকির বিভিন্ন আকৃতির ফ্রেম ও রঙতুলি। আর এসব প্রস্তুত করা হয়েছে আরবি, উর্দু ও বাংলা ভাষায় ক্যালিগ্রাফি আঁকতে।
ইসমাইল রাজধানীর ফরিদাবাদ মাদরাসা থেকে দাওরায়ে হাদিস শেষ করেছেন। ১২ বছর বয়সে যখন মাদরাসায় হিফজ পড়েন, তখন থেকেই ব্যাংকের ক্যালেন্ডারের ক্যালিগ্রাফি দেখে ক্যালিগ্রাফি চর্চা করতেন।
২০১৪ সালের শেষ দিকে আর্ট অ্যান্ড ডিজাইন হাউজ ‘গালা’তে যাতায়াতের সূত্রে পরিচয় হয় দেশের বিখ্যাত ক্যালিগ্রাফার মাহবুব মুর্শিদের সাথে। এর পর ২০১৯ সালে পড়াশোনা শেষে ভর্তি হয়ে যান মাহবুব মুর্শিদের কোর্সে।
ইসমাইল নিউ ইয়র্ক ক্যালিগ্রাফি পেইন্টিং প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনী ২০২১ সালে ইসমাইলের আঁকা ক্যালিগ্রাফি জায়গা করে নিয়েছে। এ ছাড়া ২০১৮ সালে টুকি-টাকি আর্ট অ্যান্ড ক্রাফট এক্সিবিশন, ২০১৯ সালে টুকি-টাকি আর্ট ও ক্রাফট প্রদর্শনী, ২০২০ সালে ওআইসি ইয়্যুথ ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ডে অফ আর্ট ক্যালিগ্রাফি ও ফটোগ্রাফি প্রদর্শনী ২০২০ এবং ঢাকা ওআইসি ইয়্যুথ ক্যাপিটাল ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনীতে ইসমাইলের আঁকা ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শিত হয়। ২০২০-২১ বঙ্গবন্ধু ইয়্যুথ আর্ট কম্পিটিশনে টপ টেনে জায়গা পান তিনি।
ক্যালিগ্রাফি একটা সম্ভাবনাময় শিল্প উল্লেখ করে ইসমাইল বলেন, ‘আমাদের দেশে আরবি ক্যালিগ্রাফি শিল্পের ধীরে ধীরে কদর বাড়ছে।’ ক্যালিগ্রাফির পাশাপাশি তিনি বিশেষ দক্ষতা দেখাচ্ছেন ওশান আর্টেও।
শুরুতে পছন্দ না করলেও সাফল্য দেখে মেনে নিয়েছে পরিবার। নিজে ফেসবুকে ‘ওয়াও আর্ট’ নামে একটি পেইজ খুলে অনলাইনে বিক্রির প্রতি মনোযোগী হন।
ভারত, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়াতেও তার ক্যালিগ্রাফি বিক্রি হয়েছে। অনলাইনে গড়ে মাসে প্রায় লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে তার কাজ। স্বপ্ন দেখছেন নিজস্ব একটি আর্ট গ্যালারি করার। এ ছাড়া সেখানে ক্যালিগ্রাফি শেখারও ব্যবস্থা রাখতে চান তিনি।
ইসমাইল আরো বলেন, ‘ক্যালিগ্রাফিতে আমার সবচেয়ে বড় অর্জন মানুষের ভালোবাসা ও অনুপ্রেরণা।’