সপ্তাহ না হতেই উঠে যাচ্ছে সড়কের কার্পেটিং
- রেজোয়ান ইসলাম ডিমলা (নীলফামারী)
- ২২ মে ২০২৪, ০০:০৫
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউপি থেকে কালিগঞ্জ বাজার পর্যন্ত চার কিলোমিটার রাস্তায় নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় সংস্কারের দু’দিন পরেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং। উপজেলা এলজিইডি অফিসসূত্রে জানা গেছে, এক কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ে চার কিলোমিটার ৩৭৫ মিটার সড়ক সংস্কারের কাজ পেয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জামান ট্রেডার্স। তবে নাসিমুল একরাম নামে এক সাব-ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি সম্পন্ন করেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ছয় মাস ধরে সড়কটির কাজ ধুঁকে ধুঁকে চলছে। সড়কটির পুরাতন কার্পেটিং অপসারণ না করে বালুর পরিবর্তে মাটি, তিন নাম্বার ইটের ছয় ইঞ্চি পুরাতন খোয়া, ধুলা মিশ্রিত নি¤œমানের স্থানীয় পাথর এবং পরিমাণে কম ও নি¤œমানের বিটুমিন ব্যবহার করা হয়েছে। এ নিয়ে এলজিইডি কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ জানানোয় উল্টো তাদের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ দিয়ে পুলিশি হয়রানির কথা বলেন তারা। পরে গত সপ্তাহের সোমবার রাস্তার কার্পেটিং শুরু করেন ঠিকাদার। কিন্তু বুধবার থেকেই হাত দিয়েই তুলে ফেলা যাচ্ছে রাস্তার পিচ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পুরাতন কার্পেটিং ও খোয়া না সরিয়ে নি¤œমানের ইরানি বিটুমিন ব্যবহার করা হয়। খোয়ার পরিবর্তে মাটি, নি¤œমানের পাথর ও ছয় ইঞ্চি পর্যন্ত তিন নাম্বার পুরাতন ইটের বড় বড় টুকরা ব্যবহার করা হয়। সিডিউলে সড়কটির প্রস্থ ১০ ফুট থাকলেও বাস্তবে সেটি মানা হয়নি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মামুন ইসলাম জানান, ঠিকাদার রাস্তায় নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় কার্পেটিং করার দু’দিন না পেরুতেই হাত দিয়ে তুলে ফেলা যাচ্ছে। বালুর পরিবর্তে মাটি, নি¤œমানের ইট ও বিটুমিন ব্যবহারের প্রতিবাদ করলে ঠিকাদার এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগ দায়ের করে।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সাব-ঠিকাদার নাসিমুল একরাম জানান, সিডিউলে (দরপত্র) উল্লেখিত নিয়মানুযায়ী কাজ করানো হচ্ছে। তাপমাত্রার কারণে পিচ জমাট বাঁধতে সময় লাগছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী শফিউল ইসলাম বলেন, কাজে তো অনিয়ম আছেই। এজন্য কি আমরা ঠিকাদারের সাথে মারামারি করব? অনিয়মের বিষয়ে ঊর্ধŸতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। তারা নির্দেশনা দিলে আমরা পদক্ষেপ নেব।
জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী ফিরোজ হাসান বলেন, নিয়ম বর্হির্ভূত কাজ করে থাকলে অবশ্যই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতোমধ্যেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। অনিয়ম হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।