পাঁচবিবিতে খরায় লিচুর ফলন বিপর্যয়
- পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) সংবাদদাতা
- ২০ মে ২০২৪, ০০:০০
অনাবৃষ্টি ও তীব্র খরার কারণে জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে লিচুর ফলন বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। মৌসুমের শুরুতে উপজেলার বাগানগুলোতে প্রচুর পরিমাণে গুটি এলেও পরবর্তীতে তীব্র তাপদাহে গুটিগুলো ঝরে পড়ে গেছে। যে কারণে এ বছর লিচুর ফলন বিপর্যয় দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে।
উপজেলার বালিঘাটা ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের নির্মল রায়ের এক বিঘা জমিতে ৪৫টি লিচুর গাছ রয়েছে। তিনি জানান, গাছে এবার প্রচুর পরিমাণে গুটি এসেছিল। কিন্তু সবগুলোই ঝরে গেছে। বাগজানা ইউনিয়নের কুটুহারা গ্রামের আমিরুল ইসলাম বেদারুল জানান, তার তিন বিঘার লিচু বাগানে ৮০-৮৫টি গাছ রয়েছে। আগের বছরগুলোতে প্রতি সিজনে খরচ বাদেও ৫০-৬০ হাজার পাওয়া যেত। কিন্তু এবার ফলন নেই বললেই চলে।
উপজেলার কাঁশপুর গ্রামের লিচু চাষি নিভারণ, বরগাছা গ্রামের সফিকুল, বীরনগর গ্রামের আব্দুল হাকিম ও আঁটুল গ্রামের মিজানুর রহমান জানান, এবার অনাবৃষ্টির কারণে ফলন বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। লিচুতে এবার লাভবান হওয়া যাবে না।
কুটাহারা গ্রামের আমানুল্লাহ খান বলেন, আমার এক বিঘা জমিতে লিচুর বাগান আছে। প্রতিবছর আমি নিজেই গাছ থেকে লিচু পেরে হাতে করে বিক্রয় করি। এতে অনেক টাকা আয় হয়। বাগান প্রতিষ্ঠার পর থেকেই লিচুর আশানুরূপ ফলন পেয়েছি। কিন্তু এবার তীব্র তাপদাহ ও খরার ফলে লিচুর মুকুল এবং গুটি ঝরে গেছে। যে কারণে এবার লিচুর ফলন নেই বললেই চলে।
তবে যেসব বাগানের গাছগুলোতে ফুল দেরিতে এসেছে, বৃষ্টি পাওয়ায় সেসব বাগানে ফলন কিছুটা ভালো পাওয়া যাচ্ছে। পার্শ্ববর্তী দিনাজপুর জেলাতেও একই অবস্থা। লিচুর ফলন নেই বললেই চলে। যেসব বাগানে ফলন কিছুটা ভালো হয়েছে, তারা দাম ভালো পাওয়ায় অপরিপক্ব লিচুই বাজারে তুলছেন। বর্তমানে চায়না-৩ ভালো জাতের প্রতি শ’ লিচুর ৪৫০ টাকা ও বম্বাইসহ অন্য জাতের লিচুর ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে পুরোদমে লিচু আসা শুরু করলে দাম কিছুটা কমে আসবে বলে মনে করছেন লিচু চাষিরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসসূত্রে জানা যায়, এবার উপজেলায় ২০-২৫ হেক্টর জমিতে লিচু বাগান রয়েছে। এ ছাড়া অনেক বাড়িতেও লিচু গাছ রয়েছে। আশানুরূপ বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এবং তীব্র তাপদাহে এবার লিচুর ফলন কিছু কম হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা