লংগদুতে গোখাদ্য সংগ্রহে ব্যস্ত কৃষকরা
- বিপ্লব ইসলাম লংগদু (রাঙ্গামাটি)
- ২০ মে ২০২৪, ০০:০০
জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ধানকাটা এখন শেষের পথে। মাড়াইকৃত ধান শুকানোর পাশাপাশি কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন গোখাদ্য সংগ্রহে। মাড়াইকৃত কাঁচা ধান গাছের অংশ বিশেষ (খড়) শুকিয়ে বাড়ির আঙিনায় খড়ের গাদা, ভোলা বা খড়ের ছানা দিয়ে জমা করে রাখছেন তারা। পাহাড় ও নদীমাতৃক জনপদ রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার বেশির ভাগ অঞ্চলের চারপাশে নদী। অনেক এলাকা বর্ষায় পানিতে ডুবে যাওয়ায় গোখাদ্যের বিকল্প সংস্থান হিসেবে শুকনো খড় বাড়িতে পালা করে রাখেন এ উপজেলার কৃষকরা।
গত বৃহস্পতিবার লংগদুতে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কৃষকদের খড় পালা করার কর্মযজ্ঞ। চৈত্র বৈশাখ মাসের প্রচণ্ড তাপদাহের সময় পার করে এখন তারা ধান কেটে ঘরে তুলছেন। সেই সাথে আঙিনায় রাখা ধানের খড় শুকিয়ে গোখাদ্যের জন্য পালা বা ছানা করে রাখছেন।
দিনভর খড়ের এ পিঠ-ও পিঠ শুকিয়ে কেউ কেউ জমিসংলগ্ন টিলা, আত্মীয়ের বাসা বাড়িতেও দিয়ে রাখছে ছোট বড় খড়ের ছানা। যা সময়মতো বাড়িতে নিয়ে আসা হবে। অনেককেই দেখা যায়, বাড়ির আঙিনায় উৎসবের আমেজে বড় বড় খড়ের পালা, গাদা কিংবা ছানা দিয়ে রাখতে।
লংগদুরের এক কৃষক জানান, জমিতে ধান কাটার পর পরই খড় শুকানো নিয়ে আমরা ব্যস্ত হয়ে পড়ি। খড় শুকানোর মধ্য দিয়ে বৈশাখ জ্যৈষ্ঠ মৌসুমের ইতি টানা হয়। ধান কাটার পর পর উৎসবের ন্যায় আনন্দ উল্লাস করে খড়ের গাদা তোলা হয়। শুকানো খড় গাদা করে রাখতে পারলে বর্ষায় গোখাদ্য নিয়ে চিন্তা করতে হয় না।
রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার ইয়ারিংছড়ি এলাকার কৃষক ইব্রাহিম মিয়া জানান, প্রকৃতি সহায় হওয়ায় কৃষকরা এবার ঘরে ধান তুলতে পারছেন। ধান ঘরে তুললেই বৈশাখ মৌসুমের শেষ হয় না। জমিতে রাখা কাঁচা খড় শুকানোর কাজ শুরু হয় তখন। কেননা এই খরই বর্ষায় গবাদিপশুর প্রধান খাবার। তাই খড় শুকিয়ে বাড়িতে তুলতে পারলেই বৈশাখ জ্যৈষ্ঠ মাসের ইতি টানা যায়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা