১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

৩৫ বছর ধরে চলছে বিনা পয়সার গ্যাসে রান্না সেচ ও কারখানা

কাচিয়ার এই নলকূপ থেকে বাড়ি বাড়ি গ্যাস নিয়ে রান্নার করা হচ্ছে : নয়া দিগন্ত -


ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় কয়েকশ’ পরিবার বিনা পয়সায় গ্যাসে রান্না করছেন, ইরি খেতে পানি দিচ্ছেন এবং কারখানা চালাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ এই বিনা পয়সার গ্যাস থেকে অতিরিক্ত আয়ও করছেন। এভাবেই চলছে ৩৫ বছর।
স্থানীয়দের মতে, এ ধরনের গ্যাসের প্রথম সন্ধান মেলে ১৯৬৮ সালে। সবার কাছে এটা পকেট গ্যাস নামে পরিচিত। এ অঞ্চলটি বাপেক্স নিয়ন্ত্রিত শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রের কাছেই অবস্থিত। উপজেলার পক্ষিয়া তিন নং ওয়ার্ড, টবগী দুই, তিন, চার নং ওয়ার্ড এবং কাচিয়া ইউনিয়নের কিছু এলাকায় এ ধরনের গ্যাস লক্ষ করা যায়।

পক্ষিয়া তিন নং ওয়ার্ডের ডেপুটি বাড়ির মানিক মিয়া (৯০) বলেন, আমরা বিশুদ্ধ খাওয়ার পানি আহরণের জন্য একটি গভীর নলকূপ বসাই। তখন একটি নলকূপ বসাতে আমাদের প্রায় এক মাস সময় লাগত। নলকূপটি বসানোর পর আমরা ব্যতিক্রম কিছু লক্ষ করি। নিজ থেকেই পানি পড়ে। গ্যাসের গন্ধ অনুভূত হয়। কুপি জ্বালাইয়া গ্যাসের পরীক্ষা করি। এ সংবাদটি তখন এ গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে, উপজেলায়, জেলায় এবং সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে কৌতূহলী হয়ে জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দেখতে আসে। এভাবেই কয়েক বছর কেটে যায়।
একই ওয়ার্ডের জাহাঙ্গীর (৬০) বলেন, আমাদের নলকূপগুলোর গভীরতা ৯০০-১০০০ ফুট। পানির নিচে বিচ্ছিন্নভাবে থাকে গ্যাস। মাটির নিচের গ্যাসের চাপে পানি এমনিতেই নলকূপ থেকে বেরিয়ে আসে। নলকূপ চেপে পানি ওঠাতে হয় না।

কুলসুম রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আইসিটি শিক্ষক লিমন মাস্টার বলেন, আমাদের প্রথম নলকূপের বয়স ৪৫ বছর, দ্বিতীয়টার পাঁচ বছর, তৃতীয়টার দুই বছর, তারপর সেগুলো বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে আমাদের একটি কল থেকে ১১টি লাইন দিয়ে গ্যাস ব্যবহার করছি।
নতুন হাকিমুদ্দীন বাজারের আশপাশে প্রায় ১৫টি নলকূপে নিজ থেকেই গ্যাস ও পানি বের হয়। চারটি কমপ্রেসার চলে। এ এলাকার কয়েকশ’ পরিবার যুগ যুগ ধরে এভাবেই গ্যাস ও পানি ব্যবহার করে আসছে। ফকির বাড়ির মুমিন বলেন, আমাদের বাড়ির নলকূপ থেকে এখন আমরা কমপ্রেসারের মাধ্যমে পানি ও গ্যাস দুটোই উত্তোলন করি। কমপ্রেসার মেশিন কারেন্ট এ চলার কারণে আমরা সবসময় পানি ও গ্যাস পাই না। আমাদের প্রতি মাসে প্রতি লাইনে ৫০০ টাকা নলকূপ মালিককে পরিশোধ করতে হয়। মৃত লিটন মাস্টার বাড়ির মুহসীন বলেন, আমরা নলকূপের পানি দিয়ে ইরি চাষও করি। তবে এসব জমিতে সার একটু বেশি লাগে।

এ ব্যাপারে পক্ষিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের ভোলার গ্যাস ভোলার মানুষেরাই পাবে, এটাই স্বাভাবিক। ভোলার গ্যাস ঢাকায় যায়। আমাদের গ্যাস বিদ্যুৎ পাওয়ার প্লান্টে প্রয়োজনীয় জ্বালানি সরবরাহ করা হচ্ছে। কয়েক বছর আগে বোরহানউদ্দীন পৌরসভায় ও ভোলা পৌরসভায় গ্যাস সরবরাহ করা হয়। এখন আমরা প্রত্যেক ঘরে ঘরে গ্যাস চাই।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ভারত কখনো চায়নি বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াক : মিয়া গোলাম পরওয়ার ‘উৎপাদনের জন্য কৃষি পণ্য ও উপকরণ সহজলভ্য এবং সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে’ পলিথিনে মোড়ানো নবজাতকের লাশ! আপনাকে ধরে এনে বিচার করা হবে : মোবারক হোসেন কালীগঞ্জে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে উলামা পরিষদের বিক্ষোভ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সরে যাবো : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ভারতকে দেয়া ‘বিশেষ সুবিধা’ বাতিল করল সুইজারল্যান্ড বুদ্ধিজীবী দিবসে ঢাবি ও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের শ্রদ্ধা কবি হেলাল হাফিজের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত মাইকেল জ্যাকসনের অপ্রকাশিত গানগুলো শুধু একজনই শুনতে পারবেন! দামেস্কে কবে দূতাবাস খোলা হবে জানালো তুরস্ক

সকল