১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

কাউখালীতে মাছ-গোশতসহ নিত্যপণ্যের দাম নাগালের বাইরে

-

পিরোজপুরের কাউখালীতে মাছ-গোশতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাওয়ায় বাজার করতে গিয়ে ক্রেতারা হিমশিম খাচ্ছেন। অনেকে আবার বাজার করতে গিয়ে খালি ব্যাগ নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার কাউখালী সাপ্তাহিক হাটের দিন দক্ষিণ বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যসহ মাছ-গোশতের দাম সাধারণ ক্রেতাদের একেবারে নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এক কেজি দেশীয় পোমা মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, গুড়া মাছ প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, পাবদা ৪০০, পাঙ্গাস ২০০, তেলাপিয়া ২৩০, রুই মাছ ২৫০, চাষের শিং ৫০০, কোরাল মাছ ৭০০, চিংড়ি মাছ প্রকারভেদে ৭০০ থেকে ১০০০, ইলিশ মাছ কেজির নিচে ৮০০ থেকে ১৭০০ টাকা আর কেজির ওপরে সাইজের দাম ২০০০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
এ দিকে ফার্মের মুরগি প্রতি কেজি ২০০ টাকা, লাল মুরগি ৩৮০, সোনালি মুরগি ৩৮০, দেশী মুরগি ৭০০, গরুর গোশত প্রতি কেজি ৮০০ আর খাসি ১ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের ডিম প্রতিহালি ৫০ টাকা, দেশী হাঁসের ডিম ৭০, মুরগির ডিম ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে।

মৎস্য ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান বলেন, বর্তমানে বাজারে মাছের সরবরাহ কম এবং ইলিশ মাছ কম থাকায় দাম একটু বেশি। মুরগি ব্যবসায়ী আব্দুল করিম বলেন, প্রচণ্ড গরমে অনেক মুরগি মারা গেছে যার কারণে বাজারে সরবরাহ কম থাকায় দাম একটু বেশি।
ক্রেতা দিনমজুর খলিল বলেন আমাদের মতো দিনমজুরদের মাছ-গোশতের কথা ভুলে যেতে হবে, শুধু দেখেই যাব। রায়হান হোসেন আক্ষেপ করে বলেন, বাজারে প্রতিটি দ্রব্যমূল্যের দাম আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে দিন দিন চলে যাচ্ছে। দেখার যেন কেউ নেই? বেশির ভাগ ক্রেতারা বলেন, বাজার মনিটরিং জোরদার করা না হলে এভাবেই সকল প্রকার মালামালের দাম দিন দিন বাড়তেই থাকবে।
কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা বলেন, আমরা বাজার মনিটরিং জোরদার করছি এবং কোনো ব্যবসায়ী যদি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বেশি মূল্যে মালামাল বিক্রি করে তাহলে আমরা অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement